রহস্যজনক ভাবে স্কুল থেকে উদ্ধার করা হল ১১ বছরের শিশুর মৃতদেহ ; তদন্তে গোটা থানার পুলিশ

 


পুনাহ থানার একটি মাদ্রাসা স্কুল থেকে ১১ বছরের এক ছেলের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিল শিশুটি। পরিবার বলছে, শিশুটি এক বছর ধরে মাদ্রাসায় পড়তো। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়।খুনের অভিযোগ পরিবারের পক্ষ থেকে। বর্তমানে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।ঘটনা ঘটেছে পুনাহ থানার অন্তর্গত চৌকা গ্রামে।ওখানে অবস্থিত একটি মাদ্রাসা স্কুলে উর্দু ও আরবি পড়তে গিয়েছিল।পরিবার জানায়, ওই ছাত্র ১ বছর ধরে মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ছিল। শনিবার শিশুটি বাড়িতে না পৌঁছালে তার খোঁজ করা হয়। মাদ্রাসা স্কুল থেকে বলা হয় শিশুটি চলে গেছে।এরপর পরিবারের লোক খুঁজাখুঁজি করেও কোথাও পায়নি।

সোমবার মাদ্রাসায় শিশুটির লাশ পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। পরিবার জানায়, শিশুটির বাবা নেই এবং ৩ ভাই বোন।পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঊষা কুন্ডু বলেছেন যে “আমরা মাদ্রাসায় একটি মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার খবর পেয়েছি, তারপরে আমরা সেখানে পৌঁছেছিলাম। আমরা এফএসএল টিমকে সেখানে ডেকেছিলাম এবং ঘটনাস্থল তদন্ত করছি। এ ব্যাপারে আমরা এখনো কারো কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা এই বিষয়ে এফআইআর নথিভুক্ত করেছি।

মাদ্রাসার প্রমুখ বলেন রাহুল নামে ওই ১১ বছর বয়সী ছেলে শনিবার বিকেল ৫টায় আসরের নামাজে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশুরা উপস্থিত হওয়ার সময় নিখোঁজ ছিল। প্রথমে তাকে না পেয়ে সবাই খুঁজাখুঁজি করে পরে পরিবারকে খবর দেয়। আশেপাশের গ্রাম, মাদ্রাসা ও মসজিদে তল্লাশি করা হয়। মাদ্রাসার জামে মসজিদে তারা শুধু জুমার দিনেই নামাজ পড়েন। সেদিনও দেখেছিল।  

এরপর শনিবার মসজিদের একটি কক্ষে পড়ে থাকা ক্রাশারের নিচে চাপা পড়ে থাকে ওই নিহত শিশু। তিনি জানান, এর আগেও তিনি পরিবারের সঙ্গে এই ঘরে খোঁজাখুঁজি করেছিলেন।তিনি আর‌ও বলেন যেদিন রাহুল নিখোঁজ হয় সেদিন মাদ্রাসা অপারেটর ফোনে তথ্য দিয়েছিল। তার আশঙ্কা, সমীরকে খুন করা হয়েছে। তাই এটিকে গভীরভাবে তদন্ত করা উচিত।


নবীনতর পূর্বতন