ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করল বাবা - ছেলেকে;খাট থেকে মৃতদেহ উদ্ধার

 


আসামের কাবেরী থানায় জোড়া খুনের মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে।যেখানে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বাবা - ছেলেকে।এই ঘটনায় গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।খবর পেয়েই পুলিশ ফরেনসিক টিম ও ডগ স্কোয়াড নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।তারপর সেখান থেকে প্রয়োজনীয় প্রমান সংগ্রহ করতে থাকে।মৃতদেহ দুটিকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়ছে।পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

ওই কাবেরী থানার অন্তর্গত এমিলডিহা গ্রামে বসবাসকারী ৪৫ বছরের বয়সী কৃষক গণেশ চৌহান এবং তার ১৫ বছর বয়সী ছেলে ধরমবীরের সাথে মাঠে সেচ দিতে গিয়ে বাড়ি না ফিরে খামারে থাকা খাটে শুয়ে পড়ে।রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় কয়েকজন অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।সকালে উঠেই পরিবারের লোকজন তাদের দুজনকে রক্তমাখা অবস্থায় পড়ে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে।আস্তে আস্তে গ্রামের লোক জড়ো হতে থাকে।এই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে গ্রামের লোকরা পুলিশে খবর দেয়। 

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে।নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়,তার পরিবারের কার‌ও সঙ্গে শুত্রুতা নেই।নিহতের দুটি পুত্র ছিল যার মধ্যে মৃত পুত্র ধরমবীর ছোট ছিল।পরিবারের সদস্যদের অবস্থা খুব‌ই খারাপ।পুলিশ জানিয়েছে প্রাথমিক তদন্তে কী কারণে হত্যাকান্ড হয়ছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না।এক‌ই সঙ্গে রহস্য উদঘাটনের জন্য ফরেনসিক দল ও ডগ স্কোয়াডের সাহায্য নিচ্ছে।প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে কোন মাতাল দুস্কৃতির কাজ নেশার ঘোরে এই কাজ করেছে বলে মনে করছে পুলিশ।

গ্রামবাসীদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় মৃত কৃষক গনেশ খুব‌ই ভদ্রলোক ছিলেন।কারোর সাথে কোন ঝগড়া ঝামেলাই যেতেন না।গ্রামের কাজে সর্বদা আগ্রহ দেখাতেন।পরিবারে লোকেদের সাথে ঝগড়া খুব‌ই কম হত কারণ সারাদিন তিনি মাঠেই সময় কাটাতেন আর তার প্রায় সময়‌ই তার ছোট ছেলে।গ্রামের লোকজন আর‌ও বলেন মৃত ছেলেটিও সেইরকম ছিল বাবার মত‌ই।কিন্ত গ্রামের লোকজনের সন্দেহটা যাচ্ছে মৃতের বড় ছেলের উপর।কারণ বড় ছেলের সঙ্গে তার ঝগড়া হত মাঝে মাঝে।বড় ছেলেটি ছিল খোস মেজাজের কারোর সাথে কথা বলত একাই থাকত।বাড়ির ও মাঠের কোন‌ কাজ‌ই সে করত না।সে যাই হোক পুরো বিষয়টি পুলিশ‌ তদন্ত করছে খুব শীঘ্র‌ই অপরাধীদের ধরা হবে।

নবীনতর পূর্বতন