অসুস্থতায় বিরক্ত হয়ে নদীতে ঝাঁপ দিলেন ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তবে সময়মতো তার জীবন রক্ষা পায়। প্রকৃতপক্ষে, পুলিশ কন্ট্রোল ফর্মে এক ব্যক্তি নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে এমন তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। ইন্সপেক্টর নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে যমুনায় ঝাঁপ দেন এরপর ওই ব্যক্তিকে নিরাপদে নদী থেকে বের করে আনা হয়। ঘটনাটি মোহাম্মদপুর থানা এলাকার। তথ্য অনুযায়ী, তিলক নগরের বাসিন্দা অর্জুন সিং ক্যান্সারে আক্রান্ত। তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য টাকা নেই, তাই দুঃখের সঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ইন্সপেক্টর মোমরাজ খান প্রাণের উপর খেলে তাকে বাঁচান।
জানা গেছে,অর্জুন যখন নদীতে ঝাঁপ দেন, তখন কয়েকজন তা দেখে ফেলেন। লোকজন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে এ তথ্য জানায়। চন্দ্রওয়াড় ফাঁড়ির ইনচার্জ মোমরাজ খান পুলিশের দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি কিছু না ভেবেই নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অর্জুনকে রক্ষা করেন।অর্জুন সিং বলেন, "আমি ক্যান্সারে ভুগছি এবং এর চিকিৎসা করার জন্য আমার কাছে টাকা নেই। সে কারণেই আমি আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং নদীতে ঝাঁপ দিই বর্তমানে অর্জুন সিংয়ের পরিবারের সদস্যদের এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, মোহাম্মদ পুর থানা এলাকার বালাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাহিল কুমার প্যাটেলের ছেলে কমলেশ কুমার প্যাটেল শহরে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে থেকে বের হয়েছিলেন। নদীর সেতুতে পৌঁছে স্কুটারটি সেখানে দাঁড় করিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। যুবককে নদীতে ঝাঁপ দিতে দেখে ব্রিজের ওপর ভিড় জমে যায় এবং তৎক্ষনাৎ পুলিশে খবর দেয়।তারপর পুলিশ অফিসার নিজের জীবনের পরোয়া না করে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ওই ব্যাক্তিকে বাঁচান।