জলপাইগুড়ি থেকে একটি আশ্চর্যজনক চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে।যেখানে ১৩ বছরের শিশুকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে।নিহত শিশুকে বিষ প্রয়োগ করে প্রানে মেরে ফেলেছে তারই বন্ধুর মা।নিহত ছাত্রের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।জলপাইগুড়ির এক বেসরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত ওই নিহত ছাত্র।হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে।নিহত শিশুর মা জানিয়েছেন,“অনুষ্ঠানের রিহার্সাল থেকে বাড়ি ফিরে এসে খুব ক্লান্ত বোধ করছিল।আমি যখন তাকে জিজ্ঞাসা করলাম কেন এমন হচ্ছে,তখন সে জানায় যে স্কুলের গার্ড তাকে পান করার জন্য জুস দিয়েছিল।”এরপর থেকে তার অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে এবং শেষমেষ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।দু দিন যাবার পর হাসপাতালেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
শিশুটির মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজন স্কুলের প্রহরীকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে।প্রহরী নিহতের পরিবারকে জানায়, “একজন মহিলা আমার কাছে এসে আমাকে এক বোতল জুস দিয়েছিলেন।ওই অভিযুক্ত নারী জানান তিনি শিশুটির বাড়ি থেকে এসেছে।এরপর আমি জুসের বোতলটি শিশুকে দিই।”চৌকিদারের কথায় স্কুলের বাইরে লাগানো সিসিটিভি চেক করলে দেখা যায় এক মহিলা প্রহরীকে জুসের বোতল দিচ্ছে।এরপর পুলিশ তদন্তে লেগে যায় তদন্ত শেষে জানতে পারে ওই অভিযুক্ত মহিলা আর কেউ নয় নিহত শিশুরই বন্ধুর মা ছায়ারানী সিংহ।পুলিশ অভিযুক্ত মহিলাকে হেফাজতে নিয়েছে।নিহতের পরিবার বিচারের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
মহিলাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে কিছু না বললেও ,পুলিশ কঠোর ভাবে জেরা করলে বিষ মিশ্রিত জুস খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে নেয়।তারপর অভিযুক্ত মহিলা বলেন,ক্লাসে পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পাওয়া ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তার ছেলে এবং মৃত শিশুর সবসময় ঝগড়া হত তাই সে ছেলে জীবন থেকে ওই শিশুকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।প্রায় ১৫ দিন ধরে পরিকল্পনা করছিলেন কিন্তু সুযোগ পাননি।শেষমেশ বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন এবং সফল হন।তিনি আরও বলেন তিনি ভেবেছিলেন পুরো সন্দেহ প্রহরীর উপর গিয়ে পড়বে কিন্ত তিনি সিসিটিভির কথা একবারও ভাবেন নি।
এই ঘটনার জেরে এলাকার অন্যান্য অভিভাবকরা খুবই ভয় পেয়েছেন এবং ছেলেদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে চিন্তায় আছে দু একজনের সঙ্গে কথা বললে জানা যায় তারা এই ঘটনা নিয়ে রীতিমত আতঙ্কিত।স্কুলে ছাত্র ছাত্রীরা কী আদেও সুরক্ষিত এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিক মহলে।অবশ্য পুলিশ বাহিনী অভিভাবকদের আশ্বাস দিয়েছেন বিনা দ্বিধায় যাতে বচ্চাদের স্কুলে পাঠানো হয়।