স্বামীকে না জানিয়ে বাড়ির বাইরে যাওয়ার মূল্য দিতে হল স্ত্রীকে।ক্ষিপ্ত স্বামী স্ত্রী গরম লোহার রড দিয়ে পিটাতে থাকে কিন্ত অনেক মারার পরও মরছে না দেখে তার মাথায় পুরো রডটি ঢুকিয়ে দেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়।ঘটনা ঘটানোর পর অভিযুক্ত ব্যাক্তি পুলিশের ভয়ে পালিয়ে যায়।ঘটনাটি কোতোয়ালি থানার চিতাপুর গ্রামের ঘটনা।আসলে পাঁচ দিন আগে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই মহিলা।পাঁচ দিন পর বাড়ি ফিরে এলে অভিযুক্ত ব্যাক্তি রেগে গিয়ে উল্টো পাল্টা বলতে থাকে এবং দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়।ঝগড়ার শেষ পরিনতিই এই হত্যাকান্ড।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছাঁয় এবং লাশটি কে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।প্রকৃতপক্ষে চিতাপুর গ্রামের অভিযুক্ত ওসমান অন্য রাজ্যে চাকরি করতেন।তার স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে গ্রামে থাকতেন,এসময় স্ত্রী স্বামীকে না জানিয়ে কোথাও চলে যান।ওসমান বাড়ি ফেরার দু দিন আগে স্ত্রী করে ফোন করলে স্ত্রী বলে বাড়িতে আছে।কিন্ত বাড়িতে ফেরার পর দেখে বাড়িতে কেউ নেই চাবি তালা লাগিয়ে স্ত্রী চলে গেছে এরপর অভিযুক্ত উসমান তালা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে।ঠিক দু দিন পর স্ত্রী বাড়িতে ফিরে আসে তারপরই শুরু হয় দুজনের মধ্যে বচসা।ঠিক তারপরই সামনে থাকা রড আগুনে গরম হচ্ছিল তাকেই মাথাতে ঢুকিয়ে দেয় ,সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
এই খুনের বিষয়ে থানার বড়বাবু চক্রেশ মিত্র বলেছেন, অভিযুক্তের নাম উসমান।ঘটনাস্থলে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার স্ত্রী না জানিয়ে কোথাও চলে গেছিল,যার জেরে দুজনের মধ্যে মারামারি হয়।এরপর তার স্বামী তাকে হত্যা করে।
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বল্লে জানা যায়,অভিযুক্ত যুবক একটু গরম মেজাজের।প্রায় ছয় মাস ছাড়া বাড়িতে আসতেন।আর বাড়িতে সংসার চালানোর কোন টাকা পাঠাতেন না তাই বাধ্য স্ত্রী উপার্জনের রাস্তা খুঁজতে হত।দুই সন্তান থাকার জন্য খাওয়া পরা ও পড়াশুনার জন্য অনেক টাকায় লাগত অভিযুক্ত যুবকের ছেলেদের প্রতি কোন দায়িত্ব ছিল না।গ্রামবাসীরা মনে করছেন উপার্জনের সুবাদেই হয়তো শহর গিয়েছিলেন নিহত মহিলা।কিন্ত স্বামী মনে করেছে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে স্ত্রী তাই ওই ব্যাক্তি ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছে গ্রামবাসী।