প্রথমে অন্তঃসত্তা প্রেমিকাকে গলা কেটে খুন তারপর মৃতদেহকে এমন জায়গায় রাখা হল তা জানলে অবাক হবেন!

 


মুম্বাই থেকে এক আশ্চর্যজনক ঘটনা সামনে এসছে।যেখানে এক যুবক তার অন্তঃসত্তা প্রেমিকাকে গলা কেটে হত্যা করে তারপর লাশকে পাহাড়ে লুকিয়ে রাখে।পুলিশ‌ প্রাথমিক তদন্তে জানায় অভিযুক্ত যুবক গর্ভবতী বান্ধবীর কাছ থেকে মুক্তি পেতে এই দুষ্কর্ম করেছে।তথ্য অনুযায়ী,এর আগে মুম্বায়ের একটি নির্জন পাহাড় থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়।তদন্তে দেখা যায় মেয়েটিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়ছে।সিটি পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।এরপর সন্দেহভাজন এক যুবককে আটক করা হয়।

পুলিশ বলেছে ,অভিযুক্ত হলেন নিহতের প্রেমিক।তদন্তে জানা যায়,নিহত মহিলা অন্তসত্তা ছিলেন।নির্জন পাহাড়ে পাওয়া তার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়ছে।তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন,অভিযুক্ত যুবক প্রথমে মেয়েটিকে প্রেমের জালে ফেলেন তারপর ঘনিষ্ট সম্পর্ক তৈরি করে ওই অভিযুক্ত যুবক।তারফলে নিহত মহিলা অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েন।এরপর অভিযুক্ত যুবক মেয়েটিকে বাচ্চা নষ্ট করার জন্য বলে কিন্তু কিছুতেই মেয়েটি বাচ্চা নষ্ট করতে চায় না।তাই ওই মহিলার থেকে পরিত্রানের জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে অভিযুক্ত যুবক।এরপর মেয়েটিকে নির্জন পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পাহাড়ে মৃতদেহ লুকিয়ে পালিয়ে যায়।

ময়নাতদন্ত শেষে আজ মৃতদেহকে পরিবারের লোকজনের কাছে দেওয়া হয়ছে।পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।পরিবারের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়।কিছুদিন আগে নিহত তার পরিবারের লোকজনদের প্রেমিকার সমন্ধে জানিয়েছিল।কিন্তু নিহত অন্তঃসত্তা বলে কিছুই জানতেন না পরিবারের লোকজন।

পরিবারের লোকজনের কাছে প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেয় মৃত মহিলাটি প্রথমে পরিবারের লোকজন মেনে নিতে চায়নি তারপর শেষে মেনে নেয় এবং যুবকের সঙ্গে দেখা করানোর জন্য বলে।কিন্ত তার কিছুদিন পর কান্নাকাটি করতে করতে মেয়েটি বলে তাদের সম্পর্ক কেটে গেছে।তারপর পরিবারের লোকজন তাকে বুঝিয়ে শান্ত করে।এরপরের ঘটনা পরিবারের লোকজনের কাছে অজানা।অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ,ফাঁসির দাবি করেছে মৃতের পরিবার।

নবীনতর পূর্বতন