জামুই থেকে বেরিয়ে এসেছে এক মর্মান্তিক খবর। এখানে এক স্বামী তার স্ত্রীকে কাঠ কাটার নামে জঙ্গলে নিয়ে গেলে সেখানে সে এবং তার পরিবারের সদস্যরা স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার জামুই জেলার চন্দ্রমন্ডিহ থানা এলাকায়। খোঁজাখুঁজির পর জঙ্গলে ওই নারীর লাশ পাওয়া যায়। তাকে হত্যার পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে।
চন্দ্রমন্ডি থানার পুলিশ বীর ভদ্র সিং জানিয়েছেন, নিহত মহিলার নাম ললিতা দেবী । তার শ্বশুর বাড়ি কেওয়াল নোদিয়া গ্রামে। হত্যার পর ললিতার স্বামী দিনেশ শর্মা ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। ললিতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন কাঠ কাটার অজুহাতে ললিতাকে জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং তারপর কাঠ কাটার জন্য কুড়াল দিয়ে ললিতার ওপর হামলা চালায় এবং ঘটনাস্থল থেকে সবাই পালিয়ে যায়। মহিলা বাড়ি না ফেরায় গ্রামবাসী খোঁজাখুঁজি শুরু করলে জঙ্গলে তার দেহ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে ললিতার মামাবাড়ির লোকজন তার শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছায়। দোষীদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য বাইকের জন্য ললিতাকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার পঞ্চায়েত বৈঠকও করেছে। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্তে দুই মাস আগে মামাবাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে আসেন ললিতা।
পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, ১২ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ললিতার। তার স্বামী দীনেশ শর্মা মহানগরীতে কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন, যখনই তিনি বাড়িতে আসতেন, স্ত্রীকে নির্যাতন ও মারধর করতেন। চন্দ্রমন্ডি থানার পুলিশ বীর ভদ্র সিং জানিয়েছেন, খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামী ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। অভিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করে তাদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তদন্ত করছে পুলিশ।