এক ছাত্রকে পিটিয়ে পিটিয়ে প্রানে মারলেন এক স্কুলের শিক্ষক ; কেন ওই ছাত্রকে মারধর ? জেনে নিন বিস্তারিত

 


রাজস্থানের জালোর জেলায় শিক্ষকের মারধরে এক নিষ্পাপ দলিত ছাত্রের মৃত্যু ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজস্থানের রাজনীতি।অবস্থা যাতে আর‌ও খারাপ না হয় সেজন্য পুরো জেলায় ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়ছে।সরকার মৃতের পরিবারকে ৫লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষনা করেছে।এক‌ই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়ছে অভিযুক্ত শিক্ষকে।নিষ্পাপ ছাত্রের লাশ‌‌ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়ছে,ময়নাতদন্ত সেরে পরিবারকে হস্তান্তর‌ করা হবে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জালোর পুলিশ সম্পূর্ণ সতর্ক আছে।কালেক্টর ও এসপি সহ উচ্চপ্রদস্থ কর্মকর্তারা গ্রামের কাছে অবস্থিত পুলিশ চৌকিতে ক্যাম্প করে আছেন।

সুরানা গ্রামের সরকারি স্কুল সরস্বতী বিদ্যা মন্দিরে তৃতীয় শ্রেনিতে পড়তেন ওই নিষ্পাপ ছেলেটি।প্রচন্ড গরমে ওই ছেলেটিকে খুব‌ই তৃষ্ণা পায় কিন্ত ছেলেটি জলের বোতল না আনার জন্য সামনে রাখা শিক্ষকের জলের পাত্র থেকে সে জল খেয়ে ফেলে।এটা দেখার পর উপস্থিত শিক্ষক প্রচন্ড রেগে যান এবং তাকে মারধর করতে শুরু করেন।মারধর গুরুতর পর্যায়ে চলে যায়।শিক্ষকের মারধরে নিরপরাধের কানের রগ ছিঁড়ে যায়।তারপর রক্তাক্ত অবস্থায় জ্ঞান হারায়।পরে চিকিৎসকরা এসে চেক করলে তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।

এই ঘটনায় শোকাহত স্বয়ং মূখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।তিনি টুইট করে বলেছেন,স্কুলের শিক্ষের এই জঘন্যতম কাজ খুব‌ই দুঃখজনক।অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে হত্যা এবং এসসি/এসটি আইনের ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ।মামলার দ্রুত তদন্ত এবং দোষিদের দ্রুত শাস্তির জন্য বিশেষ অফিসারদের লাগানো হয়ছে।দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিহতের পরিবারকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে মৃতের পরিবারের লোকজনদের ৫ লক্ষ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে।

এই ঘটনার পর রাজনৈতিক উত্তাপের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত পুরো জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।ছাত্রকে মারধরের অভিযুক্ত শিক্ষক চাইল সিংকে গ্রেফতার করা হয়ছে।এখন পর্যন্ত নিরীহ এর লাশ গ্রামে আনা হয়নি।আজকে নাগাদ তার দেহ পৌঁছানোর সম্ভবনা রয়েছে।তাই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার সেখানে উপস্থিত রয়েছে।
নবীনতর পূর্বতন