পশ্চিমবঙ্গ : বহুদিন ধরে নিখোঁজ দুই ছাত্রকে খুঁজছিল পুলিশ, শেষমেশ মর্গেই পাওয়া গেল মৃতদেহগুলিকে

 



উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট থেকে দুই ছাত্রকে অপহরণ করার কয়েকদিন পর, মঙ্গলবার পুলিশ উভয় ছাত্রের মৃতদেহ খুঁজে পায়। ওই দুই ছাত্রই গত ২২ আগস্ট নিখোঁজ হয়। বর্তমানে একজনের লাশ শনাক্ত করা গেলেও অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে দ্বিতীয় লাশটিও নিখোঁজ ছাত্রের বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। অন্যদিকে বাগুইহাটির এই জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। কারণ, দুই কিশোরের মৃতদেহ পাওয়া গেলেও, দুটি মৃতদেহই ১০-১২ দিন ধরে বসিরহাট মর্গে পড়ে ছিল। নিখোঁজ ছাত্রদের মামলায় পুলিশ এসব লাশ দেখেনি।  

পুলিশ জানিয়েছে, অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর ২২শে আগস্ট নিখোঁজ হয়েছিলেন এবং ২৪শে আগস্ট উভয়ের পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিল। এই দুই হত্যা মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার মতে, উভয় ছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজনরা জানান, অভিযুক্তরা তাদের তাদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছে। তবে নিহতদের একজনের নাম অতনু দে এবং আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের সন্দেহ, দ্বিতীয় মৃতদেহটি পাওয়া গেছে সেটা অভিষেকের।

তথ্য অনুযায়ী অভিজিৎ বোস, সামিম আলি, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তদের একজন সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও পলাতক। যাকে এ এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি বলা হচ্ছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে অভিজিৎ বোসই প্রথম গ্রেফতার হয়েছেন, যিনি জিজ্ঞাসাবাদের সময় কলকাতার উপকণ্ঠে বাসন্তী হাইওয়েতে একটি গাড়িতে উভয় ছাত্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। অভিজিৎ পুলিশকে জানিয়েছেন যে তিনি আরও চারজনের সাথে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন এবং উভয়ের লাশই খালে ফেলে দিয়েছেন।৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে বিবাদ ছিল বলে জানা গেছে। প্রধান অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এই টাকা ছাত্র অতনুকে একটি টু-হুইলার কেনার জন্য ধার দিয়েছিলেন।

বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি কমিশনার বিশ্বজিৎ ঘোষ মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, “২২ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল দুই কিশোর। ২৪ আগস্ট অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ পর্যন্ত মোট চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও নিখোঁজ।

নবীনতর পূর্বতন