প্রেমিকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে লাশ মাটিতে চাপা করে গাছ লাগিয়ে দিল প্রেমিক

 


রায়গড়ে প্রেমিকাকে নৃশংসভাবে খুন করল প্রেমিক। তিনি একটি ফিল্মি স্টাইলে ঘটনাটি সম্পাদন করেছিলেন। লাশ উদ্ধারে পুলিশ সদস্যরাও বিস্মিত। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। তবে এ ঘটনার পর নিহতের পরিবার এখনো আতঙ্কে রয়েছে।নগরীর চক্রধরনগর থানা এলাকায় দুই বছর ধরে প্রেমিকের সঙ্গে বসবাস করছিলেন এক তরুণী। একদিন প্রেমিকাকে দেখে ফেলেছে অন্য কারো সঙ্গে। এর পর হত্যার নারকীয় চক্রান্ত হয়। বান্ধবীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে বাড়ির আঙিনায় পুঁতে রাখা হয়েছে। তার উপরে গাছ লাগানো হয়েছে।

এই ঘটনার কথা কেউ জানতেও আসেনি।১৬ সেপ্টেম্বর নিহতের বোন থানায় নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করেন। এতে বলা হয়, তার বোন ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ প্রতিবেদন লেখার দ্বিতীয় দিন বাড়ির দরজা খুলে তিনি দেখেন, উঠানের মাটি খোদাই করা। সেখানে কিছু গাছপালা আছে।বোনের সন্দেহ হল, তাই সে মাটি সরাতে লাগল। এরই মধ্যে বোনের লাশ দেখতে পেয়ে পায়ের নিচের মাটি সরে যায়। এ বিষয়ে তিনি পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বজনদের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে।আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, "নিহতের প্রেমিক খগেশ্বর ওরফে অজয় ​​যাদবকে জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে খুনের কথা স্বীকার করেছে। অভিযুক্ত বলেছে যে সে প্রেমিকাকে এক যুবকের সঙ্গে আপসহীন অবস্থায় দেখেছিল।" এই ঘটনার পর সে খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, তাই সে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।" 

নবীনতর পূর্বতন