তেহরি থানায় এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে তার শাশুড়ি ও ননদ নিষ্ঠুরতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেল। দুজনে মিলে অনেক জায়গায় গরম প্যান দিয়ে ওই নারীকে পুড়িয়ে মেরেছে। মহিলা শিশুরা মাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। অভিযুক্ত শাশুড়ি ও বোনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি দেরাদুনের বিকাশ নগরের জীবনগড়ের। নির্যাতিতার মা জীবনগড়ে তার মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছলে তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।জোর করে ঘরে ঢুকে দেখেন তার মেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর ওই নারীকে তার মা তার বাড়িতে নিয়ে যান।প্রধান ও অন্যান্য গ্রামবাসী ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা ও গ্রামবাসী এসপি অফিসে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
আহতের স্বামীর মানসিক অবস্থা ভালো নয় বলে জানা গেছে। মহিলার মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে পুড়ে গিয়েছে। মেয়ের তিন সন্তান। শিশুরা প্রতিবাদ করলে তাদেরও মারধর করা হয়। মেয়েকে মারধর করেছে তার শাশুড়ি ও ননদ। এসপি তেহরি নবনীত সিং ভুল্লর বলেছেন যে অভিযুক্ত শাশুড়ি এবং ননদের বিরুদ্ধে তেহরি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেফতার করেছে তেহরি পুলিশ। মহিলার চিকিৎসার পর তাকে দেরাদুন বার্ন ইউনিটে রেফার করা হচ্ছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায় ,বিয়ের সময় নির্যাতিতা মহিলা শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে নগদ টাকা ও বেশি গয়না দিতে পারে নি তার উপর তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়াতে শাশুড়ি ও ননদের এই আচরণ।প্রতিনিয়ত ওই মহিলাটিকে নির্যাতন ও অত্যাচার করা হত।এই বারে অত্যাচারের সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে।স্থানীয় লোকেদের মধ্যে কেউ একজন আহত মহিলার মাকে খবর দেয়।ওই মহিলা মা সময় মতো এসে হাসপাতালে ভর্ত্তি করে কোনো রকমে প্রান বাঁচে ওই মহিলার।স্থানীয় গ্রামবাসী এই ঘটনাতে দুঃখ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।