ফিরোজাবাদে মসলা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে চমকপ্রদ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য দফতর। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মসলায় ঘোড়া ও গাধার গোবর মেশানোর পাশাপাশি আপত্তিকর গুঁড়া ও রাসায়নিকও ব্যবহার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার তথ্য দিয়ে জেলা মনোনীত কর্মকর্তা সুধীর কুমার বলেন, সবজির মসলা তৈরিতে বিপজ্জনক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে।
খাদ্য দফতর এই মসলা কারখানাগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে।জেলা মনোনীত আধিকারিক সুধীর কুমার জানান, খাদ্য দফতরের টিম নিয়ে সোমবার লালাউ এলাকায় মসলা সংস্থা আস্থা এন্টারপ্রাইজের কারখানায় অভিযান চালানো হয়।
এই কারখানাটি ২০১৮ সাল থেকে চলছে এবং খাবারে ব্যবহৃত মসলা তৈরির কাজ করে।কারখানায় অত্যন্ত ভুল পদ্ধতিতে খাবারের মসলা ভেজাল করা হচ্ছে বলে এক ইনফরমারের মাধ্যমে তথ্য পায় খাদ্য দফতর।
দলটি অভিযান চালালে বেশ কিছু অবৈধ রাসায়নিক এবং ঘোড়া ও গাধার গোবর উদ্ধার করা হয়। এই কারখানার মালিক প্রদীপ কুলশ্রেষ্ঠও একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, খাদ্য দফতরের জেলা বাজেয়াপ্ত আধিকারিক ডাঃ সুধীর কুমার সিং বলেছেন যে পুরো দল তার সাথে অভিযানের জন্য এসেছিল। যার মধ্যে রয়েছেন রবিভান সিং, আর কে সিং, ওপি সিং এবং সুরেশ শর্মা। বর্তমানে এই কারখানাটি বন্ধ করা হয়েছে এবং তৈরি সমস্ত মসলা ও রাসায়নিকও বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনার পর কারখানার মালিক প্রদীপ কুলশ্রেষ্ঠ পলাতক বলে জানা গেছে।