হামিরপুরে বৃদ্ধ বাবাকে নৃশংসভাবে খুন করল কলিযুগী ছেলে। ঘটনাটি হামিরপুর থানা এলাকার উমানিয়া গ্রামের। গোটা ঘটনায় পুলিশের গাফিলতিও সামনে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সময়মতো ব্যবস্থা নিলে ওই ব্যক্তির জীবন বাঁচানো যেত।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, ৬৫ বছর বয়সী গঙ্গা প্রসাদের দুই ছেলে রয়েছে। গঙ্গা প্রসাদ তার ছোট ছেলে রামজীবনের সাথে থাকতেন।অন্যদিকে বড় ছেলে চন্দ্রভান আলাদা থাকেন।
বেশ কয়েকদিন ধরে জমি বণ্টন নিয়ে বাবার সঙ্গে চন্দ্রভানের ঝগড়া চলছিল। সোমবার গভীর রাতে চন্দ্রভান তার ছেলে ও কয়েকজন লোক নিয়ে গঙ্গা প্রসাদের বাড়িতে এসে জমি বণ্টন নিয়ে মারামারি শুরু করে।
ঝগড়া এতটাই বেড়ে যায় যে সে রাগে গঙ্গা প্রসাদকে মারধর করে টেনে নিয়ে যায়। এ সময় প্রসাদের ছোট ছেলে রামজীবন উদ্ধার করতে যায়। কিন্তু চন্দ্রভান তাকেও মারধর করে।
সঙ্গে সঙ্গে রামজীবন থানায় পৌঁছে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ রামজীবনকে বকাঝকা করে এবং সকালে আসবে বলে থানা থেকে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এরপর মঙ্গলবার সকালে রামজীবন দেখেন বাড়ির বাইরে রাস্তায় পড়ে আছে গয়া প্রসাদের মৃতদেহ। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন তিনি। পুলিশ মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত চন্দ্রভানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। একই সঙ্গে নিহতের ছোট ছেলে বলছে, পুলিশ যদি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিত তাহলে তার বাবার জীবন বাঁচানো যেত।
অন্যদিকে, এসপি অনুপ কুমার জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনিকে খোঁজা হচ্ছে। পাশাপাশি গাফিলতি করা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়,গঙ্গা প্রসাদের বড় ছেলে বিভিন্ন রকমের গাঁজা ও হিরোইনের নেশা করত।এবং প্রায় দিনই জুয়ার নেশায় ঢুবে থাকত।জুয়া খেলায় অনেক টাকা হেরে যাওয়া চারিদিকে অনেক ধার দেনা করেছিল।কিছুতেই এই ধারের দেনা শোধ করতে পারছিল না ,তাই বাবা সম্পত্তি বিক্রি করে এই দেনা শোধ করতে চাইছিল কিন্তু বাবা তার সম্পত্তি বিক্রি করতে নারাজ।
তাই প্রায় দিনই ঝগড়া হত বাবার সাথে শেষমেষ বাবাকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে পিটিয়ে জমি লিখে নেওয়ার পরিকল্পনা করে ওই অভিযুক্ত যুবক।পিটিয়ে মারার আঘাতে ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয় গঙ্গা প্রসাদের।অভিযুক্ত এখন পলাতক,গ্রামবাসী অভিযুক্ত যুবকের ফাঁসির দাবি করেছেন।