তিন দিন আগে পরীক্ষিতগড় থানা এলাকায় এক যুবকের শিরশ্ছেদ করায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও ওই যুবকের বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।পুলিশ জানায়, মৃতদেহের কাছে একটি মোবাইলও পাওয়া গেছে, যেখান থেকে দুটি সিম কার্ডই নেই। তিন দিন অতিবাহিত হলেও লাশের মাথার সন্ধান পায়নি পুলিশ।এ কারণেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে খেজুরির বাসিন্দা মুনকাদ ও শাহরুখ পশুর খাবার নিতে ক্ষেতে যাচ্ছিলেন। খেজুরী-লালপুরের মাঝামাঝি ক্ষেতে পৌঁছালে চক্রো ডের মাঝখানে রক্ত পড়ে থাকতে দেখে উভয় যুবক তাদের মহিষের বগি থামায়। এর পরে, তারা নেমে তদন্তে অগ্রসর হয়, তখন মাত্র ২০ মিটার দূরে আখ ক্ষেতে একটি শিরশ্ছেদ করা লাশ দেখতে পায় তারা।
শিরশ্ছেদ করা লাশ দেখে দুই যুবকেরই হুঁশ উড়ে যায়। দু’জনই কোনো খাবার না নিয়ে বাড়ি ফিরে এসে গ্রামবাসীকে শিরশ্ছেদ করা লাশ পাওয়া গেছে বলে জানায়।গ্রামবাসীরা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করেও লাশ শনাক্ত করতে পারেনি।এরপর শিরশ্ছেদ করা লাশের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন গ্রামের যুবকরা। কাপড়, বেল্ট ও দেখে মৃতদেহটি দীপকের বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে বিচ্ছিন্ন লাশের খবর পেয়ে এসপি পল্লীসহ ফরেনসিক দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খোঁজখবর নেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।গ্রামবাসীরা নিহতের মাথা খুঁজে বের করার জন্য এসপি পল্লীর কাছে দাবি জানিয়েছেন।একই সঙ্গে পাশের মাঠে দীপকের মৃতদেহ থেকে নিখোঁজ মাথা খুঁজছে পুলিশ। জানা গেছে, মাথা ছাড়াই লাশ দাহ করা হয়েছে এবং ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মাথার সন্ধান পায়নি।খুনিরাও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ এ হত্যার রহস্য উদঘাটনে তৎপর রয়েছে। পুলিশ বলছে, প্রায় 7 জনকে আটক করা হয়েছে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং শীঘ্রই ঘটনাটি প্রকাশ করা হবে।