নিজের মাসিকে খুন করার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করল এক যুবক ; অভিযুক্ত সমেত ঘটনাস্থলে পুলিশ

 


তামাদ থানা এলাকায় ৫৫ বছর বয়সী এক মহিলাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার বোনের ছেলে। তাকে হত্যার পর সে থানায় পৌঁছে পুলিশ সামনে আত্মসমর্পণ করে। হত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় এবং মামলার তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে, ডাইনি হওয়ার অভিযোগে সে তার মাসিকে হত্যা করেছে।

জানা গেছে, মৃত সরলা দেবী তার বাড়িতে গোবর ফেলে আসছিলেন। পথে আগে থেকেই অতর্কিত বোনপো জয়দেব সোয়ানসি সুযোগ পেয়েই মাসির ওপর হামলা চালায়।লাঠি দিয়ে খালার মাথায় বেশ কিছু আঘাত করা হয়, এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহতের বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে, বিষয়টি মহিলার স্বামী জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বাঁচাতে ছুটে আসেন। কিন্তু তারপর‌ও অভিযুক্ত বোনপো তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। তারপর সাহায্য চেয়ে গ্রামের দিকে ছুটে যান এবং গ্রামবাসীদের বিষয়টি জানান।

মৃত মহিলার ছেলে রাঁচিতে শ্রমিকের কাজ করে। খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছালে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এ বিষয়ে গ্রামীণ এসপি রাঁচি নওশাদ আলম বলেন, অভিযুক্ত জয়দেব স্বানসি পুলিশের ভয়ে সরাসরি তামাদ থানায় গিয়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে পুলিশের সামনে আত্মসমর্পণ করেছে।অভিযুক্তের বিরুদ্ধে 302/34 এবং 3/4 জাদুকরী আইনের অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রামীণ এসপি রাঁচি নওশাদ বলেছেন যে গ্রামে জাদুবিদ্যার ঘটনা বেড়েছে। সম্প্রতি একই ধরনের ট্রিপল খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। এ জন্য গ্রামবাসীকে সচেতন করতে হবে।যাতে এ ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পুলিশ এখন টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে। যারা এই ধরনের কাজের জন্য ভোলা লোকদের প্ররোচিত করে।

নবীনতর পূর্বতন