ভাইকে মেরে হত্যা করে বাড়িতেই লাশ পুঁতে দিল‌ বোন ,পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার;হত্যাকান্ডের কারণ জানলে আশ্চর্য হবেন!

 


একটা মেয়ে একটা ছেলের সাথে প্রেম করছিল। মেয়েটির ভাই বিষয়টি জানতে পারেন। বোনকে বুঝিয়ে বললেও বোন কথা শোনেনি। এর পর ভাই বোনকে বাধা দিতে থাকে।বোনের এই কথা শুনে খারাপ লাগতে লাগল। তারপর একদিন মেয়েটির ভাই হঠাৎ কোথাও উধাও হয়ে যায়। আড়াই মাস তার কিছুই জানা যায়নি। কিন্তু এরপর যখন ছেলেটিকে খুঁজে পাওয়া যায়, তখন পুলিশও অবাক। ছেলেটিকে অন্য কোথাও নয় পাওয়া গেল তার নিজের বোনের ঘর থেকে। তবে মাটির উপরে নয়, মাটির নিচে। 

পাথরা এই এলাকাটি সাধারণত শান্ত, তবে সেদিন পাথরার পঞ্চমন্দির এলাকার একটি বাড়িতে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, ফরেনসিক টিম সহ ভাল সরকারি কর্মী উপস্থিত ছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের তত্ত্বাবধানে বাড়ির একটি কক্ষে মেঝে ভাঙছিল শ্রমিকরা। এরপর তারা জমি খনন শুরু করেন এবং প্রায় দুই ঘণ্টার পরিশ্রমের পর খনন কাজ শেষ হয় এবং ঘরের ঘরের মাটিতে যে দৃশ্য দেখা যায় তা বিস্ময়কর।ঘরের ভেতর মাটির নিচ থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একটি মানুষের লাশ খারাপভাবে পচে গেছে।এই গল্পটি ২৪শে জুন ২০২২ থেকে শুরু হয়। এই সেই তারিখ যখন পাথরা গ্রামের বাসিন্দা ২১ বছর বয়সী রোহিত কুমার রাঁচিতে তার মামার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাড়ি ছেড়েছিলেন। তিনি সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ অবস্থান করেছিলেন, কিন্তু তারপর হঠাৎ ৩০ জুন ২০২২ তারিখে তিনি রহস্যজনকভাবে কোথাও নিখোঁজ হন। ৩০ জুন জুন তার মোবাইল ফোনটি এমনভাবে বন্ধ হয়ে যায় যে সেটি আর চালু হয়নি।

পুলিশ তাদের সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও রোহিত সম্পর্কে কিছু জানতে পারেনি, না তার নিখোঁজের পেছনে কোনো শত্রুতা, টাকা-পয়সা বিনিময়ের মতো কারণ ছিল। এখন তার পুরো পরিবারের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে পুলিশ। এই প্রচেষ্টায়, পুলিশ জানতে পারে যে রোহিতের বড় বোন চঞ্চলা কুমারীর সাথে একটি মুসলিম ছেলের সম্পর্ক ছিল, যার রোহিত বিরোধিতা করে আসছিল।বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সন্দেহের সুই ঘুরেছে চঞ্চলার দিকে। এখন পুলিশ তাকে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তার সিডিআর তদন্ত করেছে। এবং আপনি জেনে অবাক হবেন যে রোহিতের নিখোঁজ হওয়ার দিন চঞ্চলা নিজেই পাথরা থেকে রাঁচির চাঁদনি চক বাসস্ট্যান্ডে তাকে নিতে এসেছিলেন। এসব প্রমাণ নিয়ে পুলিশ চঞ্চলাকে ঘিরে ফেললে সে ভেঙে পড়ে এবং তার অপরাধ স্বীকার করে। 

রোহিতের বোন চঞ্চলা পুলিশকে জানিয়েছেন যে একই ষড়যন্ত্র প্রথমে তার ভাইকে রাঁচি থেকে পাত্রাতুতে নিয়ে যায়, তারপর তার খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তার জীবন জীবন নেয়। এরপর প্রেমিক ইসরাইল আনসারির সঙ্গে দু’দিন ধরে মৃতদেহ ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। তারপর তার সরকারি কোয়ার্টারের একটি কক্ষে একটি গর্ত খুঁড়ে তাতে তার ভাইয়ের লাশ পুঁতে দেন।ভাইকে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার পর চঞ্চলা দেড় মাস একই বাড়িতে অবস্থান করলেও তার কথা কেউ শোনেনি। রোহিতের নিখোঁজ হওয়ার তদন্তকারী রাঁচি পুলিশ পাথরাতে না আসলে এই রহস্য উন্মোচন হত না।তাই বলা হয় অপরাধী যত চালাকই হোক না কেন, একদিন সে আইনের খপ্পরে পড়ে। পুলিশ চঞ্চলা ও তার প্রেমিকাকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে।

নবীনতর পূর্বতন