খান্ডোয়া থানা এলাকা থেকে আশ্চর্যজনক ঘটনা সামনে এসেছে।বিয়ে করতে অস্বীকার করায় এক নাবালিকা মেয়েকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।এরপর গতকাল এই ঘটনার নতুন মোড় এল যখন বানজারি গ্রামের নদী বাঁধের পিছনের দিকে ওই অভিযুক্ত যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গেল।লাশটি অভিযুক্ত বাবলুই বলে শনাক্ত করেছে পরিবারের লোকজন,যার বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েকে ছুরি দিয়ে হামলা করার অভিযোগ আছে।পুলিশ এ ব্যাপারে একটি মামলা রুজু করে সন্দেহজনক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে এবং লাশকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
ওই গ্রামের বাবলু নামে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে দেওয়াল বেয়ে বাড়িতে ঢুকে মেয়েটিকে বিয়ের হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ।টানা ১৫ দিন ধরে মেয়েটিকে হুমকি দিতে থাকে।কিন্তু কিছুতেই মেয়েটি মানতে চায় না এরপর অভিযুক্ত যুবক একদিন ছুরি দিয়ে তার গলা কেটে দেয়,মেয়েটির বোন হস্তক্ষেপ করতে এলে অভিযুক্ত যুবক পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায়।এরপর মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।মেয়েটির পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
একই সঙ্গে গ্রেফতারের জন্য পলাতক আসামিকে খোঁজ শুরু করে পুলিশ।বুধবার সকালে গ্রামবাসীরা যখন নদীর বাঁধ দিয়ে হেঁটে যায় তখন একটি মৃতদেহকে পড়ে থাকতে দেখে তারা তৎক্ষনাৎ পুলিশে খবর দেয়।পুলিশ এসে ঘটনা স্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।এবং স্থানীয় গ্রামবাসীরা লাশটিকে শনাক্ত করে মৃতের পরিবারের লোকজনদের খবর দেওয়া হয়।শনাক্ত করার পরই পুরো বিষয়টি পরিস্কার হয় পুলিশদের কাছে।তারা অভিযুক্ত বাবলু মহ নামে যেই ব্যাক্তিকে খুঁজছিলেন সেই হল এই ব্যাক্তি।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এটাকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে।
এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায় যে অভিযুক্ত এর আগেও একটি মেয়েকে বাইরে থেকে তুলে নিয়ে এসে বিবাহ করে কিন্ত ছয় মাস পরেই তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়।এরপর অন্যান্য বহু মেয়ের সঙ্গে শারিরীক সম্পর্কে যুক্ত হয় ওই যুবক।অভিযুক্ত চরিত্র এতটাই খারাপ ছিল যে গ্রামের কোন মেয়ে কথা বলতেও ভয় পেত।কিছুদিন অভিযুক্ত যুবকে নজর পড়ে এক নাবালিকার উপর এবং তাকে বিয়ে করার জন্য উঠে পড়ে লাগে।ওই নাবালিকার উপর মানষিক অত্যাচার করতে থাকে।এরপর একদিন দেওয়াল টপকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে পালিয়ে যায়।অভিযুক্ত যুবকের মৃতদেহ পাওয়াতে গ্রামবাসীরা মনে করছে ভগবান তার বিচার করেছেন।