পূত্রবধূ ও এক বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করল‌ শশুর, কারণ জানলে আশ্চর্য হবেন !

 


এক মর্মান্তিক এবং আশ্চর্যজনক ঘটনা আসছে বৈকুন্ঠপুর থানার বানাউড়া গ্রাম থেকে।যেখানে যৌতুকে মোটরসাইকেল না পেয়ে নিজের পুত্রবধূ এবং তার এক বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করেছে শশুরবাড়ির শশুরমশাই।ঘটনার পর পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য মৃতদেহকে লুকিয়ে রাখা হয়।মৃত মহিলার নাম সরিতা দেবী।এই ঘটনায়,সরিতা দেবীর মায়ের বক্তব্যর ভিত্তিতে ,পুলিশ স্বামীসহ ছয়জনের বিরূদ্ধে হত্যার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে।ঘটনাস্থল থেকে নিহতের শশুর মশাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে,মামুদপুর থানা এলাকার ডুমারিয়া গ্রামের বাসিন্দা সরিতার বিয়ে হয় দুই বছর আগে বৈকুন্ঠপুর থানা এলাকার বানাউড়া গ্রামের অখিলেশ সাহনির সাথে।বিয়ের এক বছর পর তার ছেলের জন্ম হয়,এরপর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল আনার জন্য চাপ দেয়।

সরিতা শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের হাত জোড় করে বলে যে তার বাপের বড়ির লোকজন খুব গরিব তারা মোটর সাইকেল‌ দিতে পারবে না।ব্যাস এই কথা শুনা মাত্র শ্বশুর বাড়ির লোকজন সরিতার উপর অত্যাচার করতে থাকে।সরিতাকে খাবার ও জল কিছু না দিয়ে উল্টে তাকে মারধর করত শ্বশুর বাড়ির লোকজন।এরপর একদিন সরিতা সুযোগ পেয়ে তার মামাকে ফোনে সব কথা বলে।সে কেঁদে সব কথা খুলে বলে।শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই কথা জানতে পেরে ২৭ আগস্ট তাকে ও তার ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে করে শ্বশুরসহ পরিবারের একাধিক লোকজন।

ঘটনা ঘটার পরের দিন অর্থাৎ ২৮ আগস্ট সরিতার ফোন না পাওয়ায় তার মা ফুলমতি দেবী গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে পৌছাঁয়।এখানে এসে তারা জানতে পারে সরিতা ও তার এক বছরের নিষ্পাপ ছেলেকে হত্যা করে লাশ লুকিয়ে দিয়েছে।ফুলমতি দেবী থানায় মৃত সরিতার স্বামী অখিলেশ সাহনি,শ্বশুর বিক্রম সাহনি সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।দ্রুত ব্যাবস্থা নিয়ে অভিযুক্ত বিক্রম সাহনিকে ঘটনাস্থল‌ থেকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।থানার বড়বাবু ধনঞ্জয় রায় জানিয়েছেন যে মামলা দায়েরের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।পলাতক অখিলেশ সাহনি সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে। 

নবীনতর পূর্বতন