আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে ব্রাজিলের একটি মৎস্যজীবি মাছ ধরতে গিয়েছিল।হঠাৎ করে সেখানে ঘটনাচক্রে তার নৌকা ডুবে যায়।তারপর ওই ব্যাক্তি নৌকায় থাকা ফ্রিজারে বরফ গুলি ঢেলে তার ভিতরে চেপে পড়েন এবং টানা ১১ দিন তিনি ওই একই অবস্থাতে ছিলেন।কোনরকম কোন পানীয় জল ও খাবার ও পাননি তিনি। বয়স ছিল ৪৪ বছর।ব্রাজিল থেকেআটলান্টিক মহাসাগরে গিয়েছিলেন মাছ ধরতে।জানা গেছে লোকটি পেশায় বড় মাপের মৎস্যজীবি।তাই ব্যাবসা বাড়াতে এত বড় ঝুঁকি নেন তিনি।
ঠিক ১১ দিন পর সাগরে ভাসমান অবস্থায় ফ্রিজারটিকে দেখে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করে জাহাজের নাবিকেরা।তারপর তারা ফ্রিজারটিকে উদ্ধার করে নাবিকগণ।ফ্রিজারটিকে খুলতেই দেখা যায় সেখানে উপস্থিত এক ব্যাক্তিকে।জাহাজের প্রাথমিক চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখেন তার শ্বাস তখনও চলছে।এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।হাসপাতালে টানা ৭২ ঘন্টা চিকিৎসার পর তার জ্ঞান ফিরে।জ্ঞান ফেরার পর পুলিশকে প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র না দেবার জন্য ১৬ দিনের জন্য তাকে জেলে পাঠানো হয়।
মিঃ রড্রিগেসকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে,প্রথমে ওই ব্যাক্তি তার সরকারী পরিচয়পত্র না দেবার জন্য তাকে এক অবৈধ অভিবাসী হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল,পরে ব্রাজিল সরকারের সঙ্গে কথা বলে তার পরিচয়পত্র শনাক্ত করার পর ,তার বাড়ি ব্রাজিল ফেরার জন্য বিমানের টিকিট বুক করে দেওয়া হয়।ব্রাজিলায়ান মিডিয়ার সাথে একটি সাক্ষাতকারে মিঃ রড্রিগেস দাবি করেছেন যে,তার নৌকাটি ডুবে যাচ্ছে দেখে তিনি নিজেকে ফ্রিজারে রাখার সিধান্ত নেন।
নৌকাটি যে স্থানে ডুবেছিল সেখান থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে ওই ব্যাক্তি টিকে উদ্ধার করা হয়।প্রাথমিক চিকিৎসক বলেন ,তার শরীরে জলের মাত্রা কমে গিয়েছিল এবং অনেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রায় কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।কিন্ত তিনি এতটাই সাহসী ছিলেন যে প্রান ত্যাগ করেননি।এই ঘটনা বড় সরকারী উচ্চ প্রদস্থ কর্মচারীরা প্রশংসা করেছেন এবং তাকে এই প্রান জয়ের জন্য উপযুক্ত পুরস্কার দিবেন বলে ঠিক করেছেন।