প্রেমের ফাঁদে ফেলে নাবালিকাকে প্রথমে বিয়ে ও তারপর খুন করল এক যুবক ; জেনে নিন পুরো ঘটনা

 


প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে মাত্র কয়েক মাস পরেই মেয়েকে হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। হত্যা মামলাটি বিহারের কাটিহার জেলার তেলতা থানার বালুগঞ্জ থানা এলাকায়; নাবালিকার মামার বাড়ি পূর্ণিয়ার বয়াসী থানার হাতীবান্ধা গ্রামে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পরিবারের সদস্যরা খুনের এফআইআর দায়ের করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, প্রেমিক ইকবাল প্রথমে মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে, তারপর দুই মাসের মধ্যে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে মেয়েটিকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। ঘটনাটি কাটিহার জেলার তেলতা থানার বালুগঞ্জের। শুক্রবার মেয়েটির মরদেহ তার গ্রাম হাতীবান্ধায় পৌঁছলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়।

নিহত চমন নূরীর ভাই আফসার আলম ও মা আরফা খাতুন জানান যে, রাতে তারা খবর পান, বালুগঞ্জে তার খালার বাড়িতে তাদের মেয়েকে হত্যার পর ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।নিহতের ভাই আরও জানান, সেখানে পৌঁছে তারা দেখেন, তার বোনের লাশ ফাঁস থেকে ঝুলছে এবং মাটির সাথে হাঁটু বাঁকানো রয়েছে। সেখানে পৌঁছামাত্র ইকবাল ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যেতে থাকে। তিনি এ বিষয়ে থানা পুলিশকে জানান। এর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে  হাতীবান্ধা গ্রামে আনা হয়।

পরিবার জানিয়েছে, ছেলে ইকবাল ইতিমধ্যে বিবাহিত। তার প্রথম স্ত্রীর নাম ববলী খাতুন। নিহত মহিলা বৈদ্যুতিক তারের কাজ করতেন। শুধু ওয়্যারিংয়ের সময়ই ওই গ্রামে আসতেন। এ সময় মেয়েটির সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। ধীরে ধীরে তাকে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে দুই মাস আগে তাঁকে অপহরণ করে। প্রথমে দিল্লিতে নিয়ে যায়। এরপর দিল্লী থেকে ফিরে এসে তার খালা আনোয়ারী খাতুনের বাড়িতে থাকেন। যেখানে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে খুন করা হয়।

নিহতের ভাইয়ের বক্তব্যের ভিত্তিতে তেলতা থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ছেলে ইকবাল, ছেলের বাবা মনসুর, মা নার্গিস খাতুন, প্রথম স্ত্রী বাবলি, খালা আনোয়ারি খাতুন এবং ভাই নবুয়াতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।


নবীনতর পূর্বতন