মন্দিরে গাছ থেকে পুরোহিতের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেল, আত্মহত্যা নাকি হত্যা? তদন্তে পুলিশ

 


ভরতপুরে সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মন্দিরের একটি গাছে পুরোহিতের ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া গেল। গাছে পুরোহিতের লাশ ঝুলতে দেখে গ্রামবাসীরা আঁতকে ওঠেন। এর একদিন আগে মঙ্গলবার একইভাবে ধোলপুর মন্দিরে গাছে এক পুরোহিতের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। টানা দুই দিনে একের পর এক পুরোহিতদের লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশও বিস্মিত। ভরতপুরেও পুরোহিত আত্মহত্যা করেছেন নাকি খুনের ঘটনা, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গ্রামবাসীরা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ভুসাওয়ার থানার পুলিশ । তারা গাছ থেকে পুরোহিতের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে রাখে। পরে ঘটনাস্থলে এফএসএল  টিম ডগ স্কোয়াড দলকে ডেকে মন্দির চত্বরে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে। পুলিশ আশপাশ থেকে অনেক প্রমান সংগ্রহ করেছে। পুরোহিত সম্পর্কে গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।

স্বজনদের উপস্থিতিতে পুরোহিতের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। পুলিশ বলছে, পুরো বিষয়টি বিভিন্ন দিক থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, এ বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে পুরোহিত হত্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসী। পুরোহিত বুধিরাম জাটব দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের মন্দিরে বসবাস করছিলেন। মন্দিরে একাই থাকতেন। 

ধোলপুরেও একই ভাবে পাওয়া গিয়েছিল পুরোহিতের মৃতদেহ । ধলপুর সদর থানা এলাকার চাঁদপুর গ্রামের মাতা মন্দিরের পুরোহিত হরিনাথ গিরি (৭৫) লাশও মন্দির চত্বরের গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। পূজারি হরিনাথ গিরি লোধি ছিলেন উত্তর প্রদেশের ইটা জেলার বাসিন্দা।  মন্দিরে অবস্থান করে প্রার্থনা করতেন। এ ধরনের ঘটনার দ্বিতীয় বার ঘটাতে সতর্ক বার্তা দিয়েছে পুলিশ।


নবীনতর পূর্বতন