বিহারের রাজধানী পাটনার বিহতায় ১০ দিন ধরে নিখোঁজ এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহতা থানার জেজে কলেজের কাছে। কলেজের পেছনের জঙ্গল থেকে বিকৃত অবস্থায় এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহের কাছে পাওয়া কাপড়, আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, হাত কাদা দেখে তার পরিচয় পাওয়া গেছে নওবতপুর থানার ছাতনি গ্রামের বাসিন্দা দীনেশ কুমার ওরফে সোনু (২১)।
দীনেশের কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, তারা তাকে হত্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বলা হচ্ছে, দুই সপ্তাহ আগে দীনেশকে তার দুই বন্ধু নওবতপুর থানার নৌদিহা গ্রামের বাসিন্দা পবন কুমার এবং ছাতনির বাসিন্দা নন্দলাল কুমার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বিহতা বাজারে নিয়ে যায়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত দীনেশ বাড়ি না ফেরায় অর্ধশতাধিক বার থানায় অভিযোগ করেন পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনায় নওবতপুর থানায় প্রশ্ন উঠছে। দীনেশ দুই সপ্তাহ নিখোঁজ ছিল, তার পরিবারের সদস্যরাও সন্দেহভাজনদের নাম পুলিশকে জানিয়েছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে উপ-পরিদর্শক সরোজ কুমার বলেন, কলেজের পেছনে পুলিশ একটি নরকের সন্ধান পেয়েছে। নরকের কাছে পাওয়া আধার কার্ড ও কাপড় থেকে তাকে দীনেশ কুমার ওরফে সোনু বলে শনাক্ত করেছেন পরিবারের সদস্যরা। মামলা দায়েরের পর তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পরিবারের লোকজনদের মতে , দীনেশের কারও সাথে ঝগড়া বা ঝামেলা ছিল না , খবই শান্ত স্বভাবের ভালো ছেলে ছিল ,সর্বদা পরিবারের কথা মেনে চলত ।তাহলে এই খুনের পেছনে কে? পরিবারের লোকজন বন্দুদেরই দোষী বলে থানায় অভিযোগ করছে , পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।