স্ত্রী বাড়ি থেকে চলে গেলে মেয়েকে ধর্ষণ করত বাবা ,রাগে নির্যাতিতার দাদা মামলা দায়ের করল থানাতে

 


গত দুই মাস ধরে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করছিলেন কলিযুগী বাবা। বাবার এই জঘন্য কাজের মুখোমুখি হয়ে নাবালিকের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে দাদাকে পুরো ঘটনা খুলে বলে। এরপর ছেলের অভিযোগে অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।বাবা-মেয়ের পবিত্র সম্পর্ককে কলঙ্কিত করার ঘটনা পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের দিনানগর শহরের। এখানে এক বাবা গত দুই মাস ধরে নাবালিকা মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছিল।

বাবার সঙ্গে ঝগড়ার জেরে নাবালিকার মা তার মামা বাড়িতে চলে গিয়েছিল। অভিযুক্ত বাবার সঙ্গে দুই ছেলে ও মেয়ে থাকতেন।গত দুই মাস ধরে বাবা একাধিকবার মদ খেয়ে বাড়িতে এসে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করত। নাবালিকা তার বাবাকে অনেকবার বাধা দিলেও সে রাজি হয়নি।নাবালিকা, যে তার বাবার এই আচরণে খারাপভাবে আহত হয়েছিল, সে তার দাদার কাছে নিজের দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতার পুরো গল্পটি বলেছিল। এই কথা শুনে ছেলেটি তার বাবার বিরুদ্ধে নাবালিকা বোনের সঙ্গে অন্যায় করার অভিযোগ দায়ের করেছে।

ছেলের অভিযোগে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।এই ঘটনার জেরে গ্রামবাসীরা লজ্জা প্রকাশ করেছে।এত জঘন্য কাজের শাস্তি ফাঁসির দাবি করেছে গ্রামবাসীরা।নির্যাতিতার ভাই এর সাথে কথা বল্লে জানা যায়, প্রথম থেকেই তার বোনের সাথে অশালিন আচরণ করত তার বাবা।

কিন্ত ভয়ে নির্যাতিতা কাওকে বলতে পারেনি এবার অসহ্য যন্ত্রনায় সে তার দাদাকে বলতে বাধ্য হয়,প্রচন্ড রাগে ছেলে বাবাকে কাঠারি দিয়ে মারতে যায় কিন্তু পরিবারের লোকজনরা তাকে আটকে দেয়।এরপর থানায় অভিযোগ করে মামলা দায়ের করা হয়ছিল।সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।পুলিশ চার্জশিট তৈরি করে সোমবার আদালতে পেশ করবে।


নবীনতর পূর্বতন