কখনো কি ভেবে দেখেছেন গাড়ির হর্ন বাজালে কারো মৃত্যু হতে পারে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। একটি ছেলের জন্য হর্ন বাজানো এতটাই খারাপ ছিল যে তাকে তার জীবন দিয়ে এর মূল্য দিতে হয়েছিল।প্রকৃতপক্ষে, বস্তির দুবুলিয়া থানা এলাকার খাজারি গ্রামের বাসিন্দা শনিরাজ (১৪ বছর) ৭ আগস্ট বাড়ি যাচ্ছিলেন। গ্রামে পৌঁছে পথে ভিড় দেখে বাইকের হর্ন বাজালে বিষয়টি গ্রামে বসবাসকারী কিছু লোকের কাছে এতটাই খারাপভাবে পৌঁছেছিল যে তারা যুবকটিকে থামিয়ে তাকে প্রচণ্ড মারধর করে, এতে ছেলেটি গুরুতর আহত হয়।
ঘটনাটি ছেলের পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে ছেলেটি কে হাসপাতালে নিয়ে যায়।ছেলের আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা তাকে লখনউতে রেফার করেন। গত এক মাস ধরে ছেলেটিকে লখনউ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল কিন্তু ৭ সেপ্টেম্বর রাতে শনিরাজের মৃত্যু হয়।সকালে স্বজনরা লাশ নিয়ে থানায় পৌঁছে সড়ক অবরোধ করে পুলিশের কাছে বিচারের আবেদন করতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিড় জড়ো হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। বর্তমানে পুলিশ কোনোভাবে বোঝানোর পর বিষয়টি শান্ত করে।
এসময় নিহত শনিরজের ভাই বলেন, "আমার ভাই দিদির বাড়িতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরছিল। বাইকের সামনে একটি শিশু এসে পড়ে, যার জেরে সে হর্ণ বাজায়। বিষয়টি গ্রামবাসীদের কাছে এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে এতটাই ক্ষোভের সৃষ্টি করে যে তারা ভাইকে বাইক থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে।একই সঙ্গে নিহতের বোন বলেন, “আমার ভাইয়ের কোনো দোষ ছিল না। গাড়ির হর্ন আমার ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার ভাইয়ের উপর হামলার কারণে সে মারা গেছে।”
একই সঙ্গে নিহতের বোন বলেন, আমার ভাইয়ের কোনো দোষ ছিল না। গাড়ির হর্ন আমার ভাইয়ের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার ভাইয়ের উপর হামলার কারণে সে মারা মারি হয় এতে এক পক্ষ গুরুতর জখম হয়। মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে নথিভুক্ত করা হয়েছে।এতে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।রিমান্ড নেওয়া হয়নি, তবে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।এখন এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ধারা বৃদ্ধি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।