স্বামীর মৃতদেহের সামনে কাঁদতে থাকা স্ত্রীই শেষমেশ বেরোল খুনি ; ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার স্ত্রী

 


নিজের স্বামীকে খুন করেছে অবিশ্বস্ত স্ত্রী।  ব্যাপারটি  মাদিয়াভ থানা এলাকার, যেখানে ৭ সেপ্টেম্বর ধলাপুর গ্রামের  গ্যাস এজেন্সির মধ্যে অখিলেশ ভার্মা নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, কেন এবং কীভাবে সেখানে লাশ এল তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

এই ঘটনায় ডিসিপি কাসিম আবদি জানান, মৃতের নাম অখিলেশ ভার্মা ওরফে সম্রাট, যিনি বিকাশ নগরের বাসিন্দা, অখিলেশ ভার্মার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী নেহা ভার্মাও ছিলেন। মৃতের স্ত্রী নেহা ভার্মার রাহুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল।অখিলেশ যখন এই কথা জানতে পারে তখন তিনি এর বিরোধিতা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, একদিন মৃত অখিলেশের স্ত্রী নেহা, রাহুল গিরি এবং রাহুলের অন্য বন্ধু আকাশ গিরি একসঙ্গে মদ পান করে এবং এই সময়ে অখিলেশকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেবার পরিকল্পনা করা হয়।

এরপর মৃত অখিলেশ ধৌলাপুর পুর গ্রাম থেকে নির্জন রাস্তায় গ্যাস এজেন্সির দিকে যাওয়ার সময় নেহা ভার্মা দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অখিলেশকে।হত্যাকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর জন্য অখিলেশের দেহও গাড়িতে মাড়িয়ে দেওয়া হয়। অখিলেশ খুনের পর স্ত্রী নেহা ভার্মা মৃতদেহকে সামনে রেখে কাঁদতে শুরু করে দেন।কিন্তু পুলিশ তদন্ত শুরু করলে স্ত্রীই খুনি বলে প্রমাণিত হয়। তিনি তার প্রেমিক রাহুল গিরির সাথে তার স্বামীকে খুন করেছিলেন। অভিযুক্ত স্ত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ডিসিপি কাসিম আবদি জানিয়েছেন যে খুনি রাহুল গিরিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, রাহুল সীতাপুরের বাসিন্দা।আর তার সহযোগী আকাশ গিরি পলাতক রয়েছে।রাহুল গিরি এবং অন্যদের অপরাধমূলক ইতিহাসও খতিয়ে দেখা হচ্ছে অতীতে এই ব্যক্তিদের কোনও অপরাধমূলক ইতিহাস আছে কি না? বর্তমানে এই মামলায় এফআইআর নথিভুক্ত করে রাহুল গিরিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে দড়ি ও ঘটনায় ব্যবহৃত বাইকটি উদ্ধার করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

নবীনতর পূর্বতন