হামিপুর থানা এলাকায় পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ এক নাবালিকার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়াতে গ্রামজুড়ে ভীষণ তোলপাড় শুরু হয়েছে।নাবালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে আশঙ্কা পরিবারের লোকজনদের।পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।পুলিশ নিহতের পরিবারের সদস্যদের সন্দেহের ভিত্তিতে একজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়ছে।এই ঘটনাটি ঘটেছে হামিপুর থানা এলাকার কুরাহ গ্রামের।
কুরাহ গ্রাম থেকে গত ৭ই সেপ্টেম্বর এক নাবালিকা বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল।নাবালিকা বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে এবং শঙ্করপুর গ্রামের বাসিন্দা সতেন্দ্র নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ তোলে।এরপর পরিবারের নির্দেশে সন্দেহে সতেন্দ্রকে হেফাজতে নেম পুলিশ।রবিবার সন্ধ্যায় গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে জঙ্গলে একটি গাছে লাশ ঝুলতে দেখা যায়।সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকৃত লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতদেহটিকে পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ নাবালিকা হিসেবে শনাক্ত করেছে এবং বলেছে যে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং পরে হত্যা করে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।লাশ উদ্ধারের পর কুরাহ গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।পুলিশ জানায়, লাশের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। যা দেখে মনে হচ্ছে নিখোঁজ হওয়ার দিনই নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে নাকি সে আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে। এক যুবককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায় ,অভিযুক্ত যুবক সতেন্দ্র পাশের গ্রামের ই ছেলে।চরিত্রের দিক ছেলেটি একেবারেই ভালো নয়।গ্রামবাসীরা বলেন, এর আগেও বহু মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছে।এবারও তাই হয়েছে বলে মনে করছে গ্রামবাসীবৃন্দ।যুবকটির একবার বিয়েও হয়েছিল কিন্ত এই চরিত্র খারাপ হওয়ায় যুবকের স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে।এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের লোকজন ভেঙে পড়েছে, গ্রামবাসীরা তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।অভিযুক্ত যুবকের ফাঁসির দাবি করেছে গ্রামবাসীবৃন্দ।