কুড়ি দিনের ভালোবাসার জেরে , বাবা-মাকে হত্যা করাল মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডকে দিয়ে ; কারন জানলে আশ্চর্য হবেন!


 কথায় আছে না! ভালোবাসার আবেগ একবার যদি কোন মানুষের উপর চড়ে যায়, সে কোন কিছু করতে দ্বিধা বোধ করে না। আবার সেই ভালোবাসা যদি ২০ দিনের হয় তাহলে তো আর কোন কথায় নেই।কিছুদিন আগে এমন ই আশ্চর্যজনক ঘটনা সামনে এসেছে যা পুলিশসহ এলাকাবাসীদের অবাক করেছে।একজন মেয়ে তার নিজের বাবা মাকে মারার ষড়যন্ত্র করেছে তার প্রেমিকের সাথে।খুন করেছে প্রেমিকটি কিন্ত পরিকল্পনা করছে ওই মেয়েটি।

এই হত্যাকান্ডের পুরো ঘটনাটি বলার আগে এই ঘটনার পেছনে পুরো ষড়যন্ত্রটি জেনে নেওয়া যাক অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মী মুন্নালাল ও তার স্ত্রী রাজদেবী তাদের মেয়ে কোমল এবং ছেলে অনুপমের সাথে বারবার কলোনিতে থাকেন।মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল, এমন‌সময় পুত্রবধূর সাথে ছেলের ঝগড়া হয় ও বিয়ের কিছুদিন পরে মেয়ে তার বাপেরবাড়ি চলে যায়। এদিকে তার পরের দিন সকালে বিছানায় দম্পতিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।কেউ ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুজনের গলা কেটে দিয়েছে।

এই ঘটনার তদন্তের সময় চারপাশে লাগানো সিসি টিভি ক্যামেরা চেক করে, যেখানে ওই এলাকার বাসিন্দা রোহিত নামে এক যুবক গভীর রাতে সন্দেহজনকভাবে ঘটনাস্থলের দিক যেতে দেখা গেছে।এর ভিত্তিতেই রোহিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব কথা স্বীকার করে অভিযুক্তরা।অভিযুক্তদের গল্পটা ছিল আর‌ও আশ্চর্যজনক। রোহিত ছিল কোমলের দ্বিতীয় প্রেমিক, কোমলের প্রথম প্রেমিক ছিল রোহিতের ভাই রাহুল যিনি একজন সৈনিক ছিলেন, এবং দেশের জন্য প্রান দেন তিনি।রাহুল মারা যাবার পর রোহিতের সাথে আবার‌ও প্রেমে লিপ্ত হন কোমল।

আসলে রোহিতের সাথে বিয়ে করতে চাইছিল কোমল কিন্ত পরিবারের সদস্যরা এই সম্পর্ক মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলেন না।কোমলের ভাইএর তার স্ত্রীর সাথে ডিভোর্সের মামলা চলছিল, কোমল ভয় পাচ্ছিল বাবা মার সম্পত্তি হাত থেকে চলে না যায় তাই এক ডিলে দুই পাখি মারার সিদ্ধান্ত নেয়।সে বাবা- মার পাশাপাশি ভাইকে মারার‌ও ষড়যন্ত্র করেছিল এবং এই ষড়যন্ত্রে তার প্রেমিক রোহিত‌ও যোগ দেয়।

মৃত দম্পতির ছেলে অর্থাৎ কোমলের ভাইএর সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় যে, গত রাতে তার মাথা ঘোরাচ্ছিল এবং তার সন্দেহ হয় যে কেউ তার খাবারে বিষ মিশিয়েছে।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল তখন তাদের বাড়িতে বাইরে কেউ আসেনি।রাতে যখন সে ঘুমাতে যায় তখন বাবা মা একটা ঘরে ও তার দিদি অন্য ঘরে ঘুমাচ্ছিল। তারপর সকালে ওঠেই দেখে তার মা বাবা গলা কাটা অবস্থায় পড়ে আছে এবং মৃত বাবা মার কাছে বসে কান্নাকাটি করছে দিদি কোমল ,সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে কল দেয় , পুলিশ এসে তাদের কার্যকলাপ শুরু করে পুলিশ। 


নবীনতর পূর্বতন