রাখী পূর্ণিমাতে পুকুর থেকে ভেসে উঠল মা মেয়ের মৃতদেহ ; আতঙ্কিত গ্রামবাসী ,ছড়িয়ে পড়েছে শোকের ছায়া

 


ত্রিপুরার চুরু জেলার সুজানগর গ্রাম রাখী পূর্ণিমাতে সামনে এসেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা।সন্দেহজনক ভাবে এক নারী ও দুই বছরের নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।আজকে পুকুরে দুজনের‌ই লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।গ্রামবাসীরা এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান এবং তৎক্ষনাৎ থানাতে খবর দেন ওই গ্রামবাসীরা।পুলিশ এসে মৃতদেহগুলি পুকুর থেকে উদ্ধার করেন।তারপর সঙ্গে সঙ্গে মৃতদেহগুলিকে স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।ওই নারীর বাপের বাড়ির লোকজনদের খবর দেন পুলিশ।ময়নাতদন্ত করার পর জানা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি খুন।

এরপর থানার বড়বাবু জানান, নিকটবর্তী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।সেখানে মাঠে তৈরি পুকুরে একজন নারী ও একটি শিশুর লাশ পাওয়া যায়।বাদাবরী গ্রামের বাসিন্দা ওমপ্রকাশে নায়কের সাথে ৬ বছর আগে বিয়ে হয় ওই নারী সন্তোষী এর সাথে।প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে করছেন থানার পুলিশ।

আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে এমনটাই উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে।ঘটনার সময় স্বামী ওমপ্রকাশ বাড়িতে ছিল না কাজের‌ জন্য বাইরে গিয়েছিল।গভীর রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন এবং অনেক খোঁজাখুঁজির পর‌ও‌ মা মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।পরেরদিন সকালে মা ও মেয়ের দেহ জলে ভাসতে দেখে তাড়াতাড়ি মেয়েটির স্বামী ও পুলিশদের খবর দেন গ্রামবাসীরা।ওমপ্রকাশ দেখা মাএ কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং গ্রামবাসীদের‌ও চোখে জল দেখতে পাওয়া যায়।

থানায় খবর দেবার পর বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং গ্রামবাসীদের সহয়তায় লাশ দুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।তার সরকারি হাসপাতালের মর্গে লাশ দুটিকে পাঠানো হয়।এই ঘটনার কারন পুরোপুরিভাবে এখন‌ও নিশ্চিত হয়নি।পুলিশ মেয়েটির বাপের বাড়ির লোকজনদের বয়ানের অপক্ষা করছে।রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যাবস্থা নিবে পুলিশ।তবে এই ব্যাপারে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে।

এলাকাবাসীদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, মেয়েটি খুব‌ই ভালো এবং শান্ত ছিল।কিন্তু স্বামী ওমপ্রকাশ মাতাল ছিলেন এবং মদ খেয়ে এসে মাঝে মধ্যে অশান্তিও করতেন।কিছুদিন আগে ওমপ্রাকাশের নামে এক গোপন খবর পান গ্রামবাসীরা।গ্রামবাসীরা জানতে পারেন ওমপ্রকাশের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।এলাকাবাসীরা মনে করেন এই বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে কথা কাটাকাটি হয় স্ত্রীর সাথে এবং আর‌ও বলেন গ্রামবাসীরা কিছুদিন যাবৎ মারধর‌ও করে ওমপ্রকাশ।শেষমেষ লজ্জা সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে মনে করছে গ্রামবাসীরা।


নবীনতর পূর্বতন