দুর্গ থানা এলাকা থেকে এক দুঃখজনক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে,যেখানে মা ও ভাই মিলে নিজের ছেলেকেই খুন করেছে।এই ঘটনা ঘটার পর পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।ময়নাতদন্তের রির্পোট পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়ছে।ময়নাতদন্তের রির্পোটে উঠে এসেছে নিহত লোকেশ্বর ঠাকুরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।এরপর আসামিদের হেফাজতে নিয়ে কঠোর জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করে।অভিযুক্তদের জবানবন্দি রেকর্ড করে প্রমান হিসাবে রাখা হয়ছে।খুব তাড়াতাড়ি আদালতে পেশ করা হবে।
পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী কিছুদিন আগে মৃত লোকেশ্বর তার মাকে গালিগালাজ করে।এসময় মা তার ছেলের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়।ঝগড়া যখন চরম পর্যায়ে চলে যায় তখন মা দুই হাত দিয়ে ছেলের গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে এবং ঘটনাস্থলেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়।এরপর পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য মা ও ভাই মিলে পরিকল্পনা করে মৃতদেহকে বিছানায় ফেলে ঘরে চাবি তালা দিয়ে মাঠে চলে যায়।কিন্তু এত পরিকল্পনা করেও শেষ রক্ষা হল না।প্রতিবেশীরা তালা ভেঙ্গে মৃতদেহ দেখেই পুলিশে খবর দেয়।পুলিশ এসে লাশকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।ময়নাতদন্তের রির্পোট আসতেই পুরো বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায় পুলিশের কাছে।তারপর ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
দুর্গ থানার পুলিশ সুপার বলেছেন,অভিযুক্তদের কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।আসামির সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ছে।এরপর ময়নাতদন্তের রির্পোটের ভিত্তি অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পুরো বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে।শিগগিরই মামলার চার্জশিট পুলিশ আদালতে পেশ করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বললে জানা জান যায়,নিহত লোকেশ্বর প্রায়শই নেশাতে ডুবে থাকত।পাড়ার দুর্বৃত্তদের সাথে মিশে নেশা করা জুয়া খেলা এইসব করে বেড়াত।যখন টাকার দরকার হত তখন মার কাছে টাকা চায়তে যেত। সেইরকমই কিছুদিন আগে টাকা চায়তে গিয়েছিল মার কাছে।কিন্ত কিছুতেই মা টাকা দিতে নারাজ ছিল তাই দেখে নিহত যুবক মাকে গালিগালাজ করে অকথা কুকথা বলতে থাকে এতে মা প্রচন্ড রেগে ছেলের গলা টিপে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে।এরপর ছোট ছেলে বাড়িতে এলে থাকে সব কথা খুলে বলে মা।তার মা ও ছোট ছেলে মিলে বাকি পরিকল্পনা করে।