সিরারি থানার অন্তর্গত হাসৌধি গ্রাম থেকে এক ভয়াবহ মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসছে।যেখানে স্ক্রু ডাইভার দিয়ে বাবাকে হত্যা করে ছেলে।হত্যা্র ঘটনার পর ছেলে পলাতক রয়েছে।নিহত ব্যাক্তির নাম গনেশ মাঝি।ঘটনাটি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় গনেশ মাঝির নামে একটি বাড়ি বের হয়।এই বাড়ি নিয়ে ছেলে মুকেশ মাঝি ও বাবা গনেশ মাঝির মধ্যে বিরোধ চলছিল।এই বাড়ি নিয়ে বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে ছেলে মুকেশ বাড়ি থেকে স্ক্রু ডাইভার এনে বাবার মাথায় আঘাত করে।স্ক্রু ডাইভারের আঘাতে আহত গনেশের মাথা থেকে রক্তের ধারা বইতে থাকে।বাকি পরিবারের লোকজন আহত গনেশকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা থাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।মুকেশ মাঝির বিরুদ্ধে হত্যার মামলা রুজু করা হয়ছে।
নিহত গনেশের স্ত্রী জানান,তার বড় ছেলে মুকেশ সবসময়ই বাড়িতে কোনো না কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়া করতো।এই কারণেই বাবা গনেশ মাঝি স্ত্রীর সঙ্গে আলাদা থাকতেন খেতেন।ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে একটি বাড়ি অনুমোদিত হয়েছিল।মুকেশ চেয়েছিল তার নিজের ভাগের জমিতে তার নামে বাড়িটি তৈরি হোক কিন্ত বাবা গনেশ তা মেনে নিতে কিছুতেই রাজি ছিল না।এরপর শুরু হয় চরম বিরোধিতা।মঙ্গলবার বিরোধিতার জেরে সে তার বাবাকে স্ক্রু ডাইভার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীসহ গ্রামবাসীরা খুবই আতঙ্কিত রয়েছে।পুলিশের ভয়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত অভিযুক্ত মুকেশ মাঝি।ঘটনার খবর পেয়ে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান।
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,অভিযুক্ত মুকেশ মাঝি ব্যাক্তি হিসাবে খুবই ভালো ছিলেন।কিন্ত বিয়ের পর থেকে সে তার স্ত্রীর কথায় উঠত আর বসত।স্ত্রীর মতলব খুব একটা ভালো ছিল না।বিয়ের পর পরই শশুর শাশুড়ির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয় এবং ছেলেকেও মা বাবার কাছ থেকে সরিয়ে আনে।এরপর মুকেশ মাঝিকে বার বার উস্কাতে থাকে বাবা মার কাছ থেকে সমস্ত সম্পত্তি লিখে নেওয়ার জন্য।কিন্ত বাবা মা সম্পত্তি লিখে দিতে চায় না।এরপর বাবা মার সাথেই শত্রুতা শুরু করে দেয় ছেলে ও বউমা।এই শত্রুতা চলাকালীন বাবার নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা বের হয়।এই বার এই টাকা হাতানোর পরিকল্পনা করতে থাকে ছেলে।তারপর শেষমেষ বিরোধিতার জেরে স্ক্রু ডাইভার দিয়ে বাবাকে হত্যা করে।অপরাধীর ফাঁসির দাবি করেছে গ্রামবাসীগণ।