আলিগড়ে এক হৃদয় বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে স্বামী। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটিকে হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ঘটনার তদন্ত শুরু করে। বাথরুমে নগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল মহিলার মৃতদেহ।ঘটনাটি গাজীপুর থানার বড়লা গ্রামের। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় গ্রামবাসী উমেশ কুমার সোলাঙ্কি জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।মঙ্গলবার বিকেলে ওই নারী জামাকাপড় নিয়ে নিজ বাড়িতে তৈরি বাথরুমে গোসল করতে যাচ্ছিলেন। এরপর কোনো কিছু নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর স্বামী ঘরে রাখা লোহার ধারালো বন্দুক ও লাঠি দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, আট বছর আগে মোহিত কুমার ও স্বপ্নার বিয়ে হয়। দুজনেরই চার বছর একটি ছেলে রয়েছে। স্বামী মোহিত মদ্যপানে আসক্ত। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো।
এ বিষয়ে ডিএসপি সারজানা সিং জানান, বড়লা থানার গাজীপুর গ্রামে স্বামী তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে খবর পেয়েছিলেন। খবর পেয়ে এলাকা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে আগে থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করেছে।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে। পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এই ঘটনার পর পুরো গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খুনের পর স্বামী ধুয়ে-মুছে আবর্জনা রেখেছিলেন। এ ঘটনার পর পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।