স্ত্রীকে ইট মেরে খুন করেছেন এক ব্যক্তি। তারপর ফাঁসিতে ঝুলে নিজের জীবন দেন। নিহতের ছেলে পুলিশকে জানি য়েছে, মা ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলতেন, এতে বাবা রেগে যেতেন।এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
থানা তালকাটোরা এলাকায় বসবাসকারী ঠিকাদার কুলবন্ত সিং (৪৩) তার স্ত্রী পুষ্পকে (৩৮) মাথায় ইট দিয়ে খুন করে আত্মহত্যা করেন। দুপুর ১২টার দিকে শিশুটি বাড়ি ফিরলে সে ঘটনাটি জানতে পারে। শিশুটি জানায়, প্রায় দুই মাস ধরে মা ও বাবার মধ্যে ঝগড়া চলছিল।পুলিশ জানায়, কুলবন্ত সিং চুক্তিতে বাড়ি নির্মাণের কাজ করতেন। ঘটনার সময় তার ছেলে অনিরুদ্ধ কোচিং পড়তে গিয়েছিল।
পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য এবং তদন্তে যা কিছু তথ্য সামনে এসেছে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন নিহত পুষ্প? যার জের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। কুলবন্ত এবং পুষ্পের বড় ছেলে অনিরুদ্ধের বয়স ১৩ বছর।মৃত পুষ্প কার সঙ্গে ফোনে এত কথা বলতেন তাতে তার স্বামী রেগে যেতেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে এডিসিপি পশ্চিম চিরঞ্জীবী নাথ সিনহা বলেন, প্রথমে স্বামী স্ত্রীকে হত্যা করেছে। তারপর নিজেও ফাঁসিতে ঝুলে। নিহতের শিশুটি জানায়, এ নিয়ে দুজনের তুমুল ঝগড়া হয়। ঘটনার সময় শিশুটি কোচিংয়ে পড়তে গিয়েছিল। মাকে ডাকতে ঘরে পৌঁছে দুজনেই দেখেন পুষ্প রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং বাবার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। চিৎকারে শিশুটি বাইরে দৌড়ে এসে প্রতিবেশীদের খবর দেয়।