নাতি আর ছেলে মিলে ঠাকুমাকে মেরে নয় টুকরো করে নদীর জলে ফেলে দিল; তদন্তে পুলিশ


বাবার সঙ্গে নাতি মিলে নৃশংসভাবে খুন করেছে ঠাকুমা। এরপর লাশ ৯ টুকরো করে নদীতে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়। বিষয়টি টাকা ও সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে বলা হচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, ৬২ বছর বয়সী ঊষা গায়কওয়াড়ে পুনের দেহু এলাকায় অবস্থিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসে ঝাড়ুদারের কাজ করতেন। মাত্র দুই বছর অবসর নিয়েছেন।প্রতিবেশীরা জানান, ৬ দিন ধরে উষাকে দেখতে পাননি, পরে তাদের মেয়েকে বিষয়টি জানান। মেয়ে নিখোঁজ নারীর অভিযোগ থানায় দায়ের করেছে। তদন্তের সময় পুলিশ ঊষার বাড়িতে পৌঁছায়। তারা পিতা-পুত্রের কাছে উষার খোঁজখবর নেন। দুজনের বিভিন্ন বক্তব্যের কারণে তাদের সম্পর্কে পুলিশের সন্দেহ হয়। 

পুলিশ কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাবা-ছেলে অপরাধ স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানায়, উষার পেনশন দিয়ে সংসারের খরচ চলত। কয়েকদিন ধরে, উষা বারবার তার নাতিকে কটূক্তি করছিল যে তার পেনশন সংসারের খরচের জন্য যথেষ্ট নয়। সেজন্য ঠাকুমাও চাইত যাতে তার নাতি রোজগার করে।নাতি চাইত যাতে তাকে ঠাকুমা সম্পত্তি লিখে দেয়।কিন্তু ঊষা স্পষ্টভাবে তার নামে সম্পত্তি হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেছিলেন। আরও বলেন, বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে। 

এতে নাতি ক্ষিপ্ত হয়ে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে দাদীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঘরের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঊষাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সমস্যা হচ্ছিল লাশের নিষ্পত্তি করতে। দুজনেই করাত দিয়ে মৃতদেহকে ৯ টুকরো করে মুলা-মুথা নদীতে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়।পুলিশ বাড়ির বাথরুম দেখে রক্তে লাল। উষার নাতি সাহিল (২০) জানান, বাথরুমেই মহিলার দেহ কেটে ফেলেছিলেন তিনি। বর্তমানে বাবা-ছেলে দুজনকেই পুলিশ আটক করেছে।এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নবীনতর পূর্বতন