বারমের থানা এলাকায় ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিদ্যালয়ের বাথরুমে। স্বজনদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে নাবালিকার চিকিৎসা করায়। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগে জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে তাদের নাবালিকা মেয়ে গোবর সংগ্রহ করতে বাড়ি থেকে বের হয়।
প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে সরকারি স্কুলের দেওয়ালে বসেছিলেন গ্রামের যুবক মদন সিংয়ের ছেলে গোপাল সিং। কে গোবরের অজুহাতে নাবালিকাকে ফাঁকা পড়ে থাকা স্কুলে নিয়ে যায়, সেখানে বাথরুমে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে।
এ সময় ভিকটিম চিৎকার শুরু করলে গ্রামের মহিলারা ঘটনাস্থলে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর নাবালিকার কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে পৌঁছে পুরো ঘটনা তার মাকে জানায়। এরপর নাবালিকার মায়ের রিপোর্টে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত জোরদার করেছে পুলিশ।
গুদামালানি থানার অফিসার রমেশ ঢাকার মতে, নাবালিকা মেয়ের মায়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে, পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
এদিকে গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত মিটিংয়ের মাধ্যমে পুরো বিষয়টিকে সমাধান করতে চেয়েছিলেন।যেহেতু অভিযুক্ত যুবক ও নির্যাতিতা একই গ্রামের তাই দুজনের বিয়ে দিয়ে পুরো বিষয়টিকে ঠিক করে দিতে চাইছিলেন গ্রামবাসী গণ।কিন্তু নির্যাতিতার মা এই বিয়েতে রাজি হলেও অভিযুক্ত যুবকের বাবা এই বিয়ে মানতে নারাজ ,অভিযুক্ত যুবকের বাবা বলেন ,“আমার ছেলে নির্দোষ ,আমার ছেলে কখনই এমন কাজ করতে পারে না ,ওই মহিলা আমার ছেলের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।”অভিযুক্ত যুবক এখন পলাতক তাঁকে গ্রেফতার করার পর পুরো বিষয়টি পরিস্কার হবে বলে বিশ্বাস পুলিশ বাহিনীর।