শ্বশুরবাড়ির লোকজন শিল নোড়া দিয়ে মাথায় ঠুঁকে ঠুঁকে হত্যা করল মা ও মেয়েকে , খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ

 


আমরোহার একটি গ্রামে রবিবার সকালে মা ও মেয়ের মৃতদেহ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দুজনের মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত মহিলা বিধবা এবং এবং মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। নিহত নারীর পরিবারের সদস্যরা বলছেন, জমির জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

ডাবল খুনের মামলাটি আমরোহার থানার অন্তর্গত ব্রজঘাট ফাঁড়ির কানকাথের গ্রামের। মিথলেশের স্ত্রী মৃত পাবনা ও তাদের ১০ বছর বয়সী মেয়ে ইয়াশিকে নিয়ে নিয়ে কানকাথারে থাকতেন। তার বড় ছেলে হাসানপুর থানা এলাকার অন্তর্গত বাহাপুর গ্রামে তার মামাবাড়িতে থাকে। 

রোববার সকালে ব্রিজঘাট ফাঁড়িতে মা ও মেয়ের লাশ পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশকে গ্রামের লোকজন জানান, “রবিবার সকালে পাবনা গেট না খুললে আমরা বাড়ির দরজায় ধাক্কা দেই। অনেকক্ষণ ঘর থেকে কেউ বের হয়নি। আমাদের সন্দেহ হলে বাড়ির গেট খুলে ভিতরে ঢুকতেই দেখি উঠানে খাটের উপর পাবনা ও তার মেয়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে।”

মেয়ে ও নাতনি খুনের খবর পেয়ে কানকাঠেরে পৌঁছে  স্বজনরা গজরৌলা থানার সামনে তোলপাড় সৃষ্টি করে এবং  শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মা ও মেয়েকে হত্যার অভিযোগ তোলে।স্বজনরা পুলিশকে জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন পাবনার স্বামী মিথেলা। এরপর থেকে মেয়েকে নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকতেন তিনি।পৈতৃক জমির বিরোধের জেরে বহুবার পঞ্চায়েতও হয়েছে। 

মা-মেয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বেশ কয়েকটি গ্রামের পরিবেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামের পরিবেশ যাতে বিগড়ে না যায় সেজন্য অনেক থানার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

আমরোহার ডিআইজি শালভ মাথুর বলেছেন যে পুলিশ সন্দেহের ভিত্তিতে গ্রাম থেকে এক মাতালকে আটক করেছে। যা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক তাদের খোঁজা শুরু হয়েছে শ্রীঘ‌ই শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হবে।

নবীনতর পূর্বতন