জামাই প্রথমবার শশুরবাড়িতে গিয়েই স্ত্রীসহ পুরো পরিবারের লোকজনদের খুন করল;

 

এক উন্মাদ জামাইয়ের মাথায় এমন রক্তচাপ উঠে যে সে তার শশুরবাড়ির সমস্ত লোককে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।জামাইয়ের হামলায় এক‌ই পরিবারের দুইজন নিহত এবং তিনজন গুরতর অবস্থায় আহত হয়েছেন।খামখেয়ালি জামাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।ঘটনার পর অভিযুক্ত জামাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ঘটনাটি ঘটেছে রামপুর এলাকায়।তথ্য অনুযায়ী যে ব্যাক্তিটি এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে সে আর কেউ নয় নিহতের পরিবারের জামাই,যে প্রথমবার শ্বশুরড়িতে এসেছিল।

তিনি শ্বশুর বাড়ির পাঁচজনকে লোহার রড দিয়ে হামলা করেন।এই ঘটনায় একটি ১৩ বছর বয়সী শিশু ও ৬০ বছর বয়সী এক মহিলা ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং একজন মহিলা ও দুটি শিশুকে গুরুতর অবস্থায় মগধ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়,সেখান থেকে ডাক্তারদের পরামর্শতে মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য।

ঘটনার খবর পেয়ে রামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে।অনেক চেষ্টার পর শোকের ছায়া কাটিয়ে লাশগুলোকে ময়নাতদন্তের জন্য মগধ মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়।অভিযুক্ত কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখন‌ও স্পষ্ট নয়,তবে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে অভিযুক্ত প্রভু মাঝি মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন‌ এবং হেরোইনের নেশাও করতেন।কোনো ঝামেলার কারনে রাত দুই-তিনটার দিকে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।ঘুমন্ত অবস্থায় লোহার‌ রড দিয়ে পরিবারের লোকদের আক্রমন করে।

সে তার শ্যালকের স্ত্রী গীতা দেবী,গীতা দেবীর মা,গীতা দেবীর তিন ছেলে লাকি কুমার,লেদা কুমার,এবং চিন্টু কুমারকে টার্গেট করেছিল,পাশাপাশি রক্ষা করতে আসা স্ত্রী গোর্কি দেবীকেও রেহাই দেয়নি তার উপর‌ও আক্রমন করে।রামপুর থানার সভাপতি রবি কুমার বলেছেন“সকালে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি এবং দেখেছি ঘটনাস্থলেই দুজন মারা গেছেন এবং তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।আমরা অভিযুক্ত প্রভু মাঝিকে গ্রেফতার করেছি।চার্জশিট তৈরি করে শীঘ্র‌ই আদালতে পেশ করা হবে।



নবীনতর পূর্বতন