শ্রীগঙ্গানগরে একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে ডিগ্গিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় এক যুবক ও এক তরুণীর লাশ। এ খবরে গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বলা হচ্ছে যুবক ও তরুণী দুজনেই আত্মীয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রেমের সম্পর্কের জেরে দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন। মেয়েটির সম্প্রতি বাগদান হয়েছে। পুলিশ লাশগুলো স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে রেখেছে। আজ লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।
পুলিশ জানায়, শনিবার একটি ক্ষেতে তৈরি জলের খনিতে এক যুবক ও একটি মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ অফিসার অলোক সিং সহ অন্যান্য স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। পুলিশ প্রশাসন ডিগি থেকে যুবক ও তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে রেখেছে।
দুজনেই একে অপরের সাথে সম্পর্কিত ছিল। মেয়েটির ঠাকুমা এবং যুবকের মামাতো ভাই-বোন। বলা হচ্ছে, মেয়েটির বাগদান হয়েছে মাত্র ৩ দিন আগে। সম্ভবত প্রেমের সম্পর্কের প্রাচীরের জেরে জলভর্তি ডিগিতে ঝাঁপ দিয়ে জীবন শেষ করেছে যুবক ও তরুণী।
এদিকে মেয়েটির শশুরবাড়ির লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বলেন যে এই বিষয়ে তারা কিছুই জানতেন না এবং মেয়েটা বা মেয়ের পরিবারের লোকজন তাদের কিছুই জানায়নি।অন্যদিকে মেয়েটির বাপের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রথমে কিছু না বললেও শেষে তার বলেন পুরো বিষয়টিই তারা জানতেন কিন্ত পেমিককে তাদের পছন্দ না হওয়ায় তারা জোর পূর্বক তাদের পছন্দ করা পাত্রে সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দেন। পুলিশ সত্য লুকানো ও জোর পূর্বক মেয়ের বিয়ে দেবার জন্য বাবা মায়ের বিরূদ্ধে মামলা রুজু করেছে।
