স্ত্রী ও মেয়ের গলা কেটে শশুরবাড়ির চৌকাঠে রেখে দিল এক ব্যাক্তি ! সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারান পরিবারের লোকজন;


 বিহারের মধ্যপুরা থেকে এক হৃদয় বিদারক ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে এক নিষ্ঠুর স্বামী নিষ্ঠুরতার সব সীমা অতিক্রম করেছে। তার স্ত্রী ও দেড় বছরের মেয়ের গলা কাটলেন ওই ব্যাক্তি।স্ত্রীর মাথা শ্বশুর বাড়িতে রেখেছিলেন, ঘরেই টেবিলে মেয়ের মাথা রেখে অন্য দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। পুলিশ মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে।

ঘটনাটি শ্রীনগর থানা এলাকার রামনগর মহেশ পঞ্চায়েতের। তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চায়েতের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা  পারিবারিক কলহের জন্য শুক্রবার রাতে স্ত্রী মুরসুদা খাতুন ও দেড় বছরের মেয়ে জিয়া পারভীনকে হত্যা করেন জিবরিল। তাদের উভয়ের মাথা ধড় থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল।  তার মেয়ের মাথা বাড়িতে টেবিলে রেখেছিল যেখানে তার স্ত্রী তার কাটা মাথা নিয়ে ভারহি এলাকার মাছভাকরা গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছেছিল। সেখানে স্ত্রীর বাড়ির থেকে ২০০ মিটার দূরে চৌকাঠে রেখে পালিয়ে যায়।

সকালে গ্রামের রাস্তার পাশে চৌকাঠের ওপর মহিলার বিচ্ছিন্ন মস্তক রাখা দেখে লোকজন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় গ্রামবাসী। ভিড়ের মাঝে নিহতের বাবা মাথাটি দেখে সন্দেহ করেন এটি তার মেয়ের মাথা। লোকজন বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানায়। এরপরই বাচভাকরা গ্রামে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কাটা মাথার নিচে একটি স্লিপ পাওয়া গেছে, যাতে কিছু লেখা ছিল।  

এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই এসএইচও তার দলবল নিয়ে অভিযুক্ত জিব্রিলের বাড়িতে পৌঁছায়। যেখানে দেখা যায় ওই নারীর লাশ ঘরে পড়ে আছে। শুধু তাই নয়, নিষ্পাপ মেয়েটির মাথা ও ধড় এক কোণে আলাদা করে পড়ে ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তের মা নাজিদা খাতুনকে আটক করলেও ঘাতকের বাবা শেখ ফরেন পালিয়ে যায়। খুনি খুনের ভিডিও এবং হুমকিমূলক কথার রেকর্ডিংও শ্বশুরবাড়ির হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছিল। 
এই মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা থানায় পৌঁছে হট্টগোল সৃষ্টি করে এবং মৃতদেহের পঞ্চনামা করতে বাধা দেয়। জনগন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধর্নাতে বসে অভিযুক্তকে তাড়াতাড়ি গ্রেপতারের জন্য।থানার পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পৌঁছান ,তিনি গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়েছেন অভিযুক্তকে খুব শ্রীঘ‌ই ধরা হবে।

নবীনতর পূর্বতন