মহোবা গ্রাম থেকে দুটি অগ্নিদগ্ধ ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।নিহত ছেলের বয়স ১৮ বছর এবং নিহত মেয়েটির বয়স ১৬ বছর বলে জানা যায়।গ্রামের লোকজনদের মতে ছেলেটি ও মেয়েটির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।দেহগুলি আগুনে পোড়ার জন্য আত্মহত্যা নাকি খুন এই নিয়ে পুলিশের মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ গুলিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।মৃতদেহগুলি বেশ কয়েকদিনের পুরানো বলে মনে করেছে পুলিশ।নিহত যুবকে তার মাসির মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া চলছিল বলে জানা গেছে।
আজনগর থানার অন্তর্গত মহোবা গ্রাম থেকে একটি ১৮ বছর বয়সী ছেলে ও ১৬ বয়সী মেয়ে আত্মীয় বাড়িতে যাবার জন্য বেরিয়েছিল,অনেকদিন হবার পরও তারা বাড়িতে ফিরে আসেনি।তারপর পাশের ঘন এক জঙ্গল থেকে দুর্গন্ধ আসতে থাকে লোকজন জঙ্গলে গিয়ে দেখতে যায় ,তারা সেখানে দুটি মৃতদেহ ঝুলতে দেখে এরপর তারা তৎক্ষনাৎ পুলিশে খবর দেয়।পুলিশ এসে মৃতদেহ গুলিকে উদ্ধার করে।লাশ গুলি বেশ কয়েকদিনের পুরানো হওয়ায় তার খবুই দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল।ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ প্রতিবেসী ও পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং জানা যায়,নিহত ছেলেটির সাথে তার মাসির ১৬ বছরের মেয়ে ও ঝুলছে।মেয়েটি দশম শ্রেণিতে পড়ে।
জানা গেছে,দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।দুজনের মৃতদেহ একসঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।যদি আত্মহত্যা হয় তাহলে দেহ আগুনে পুড়লো কিভাবে? পুলিশ পুরো বিষয়টিকে নিয়ে খুবই সন্দেহের মধ্যে আছে।তাই পুরো ঘটনাটিকে নিয়ে খুবই সূক্ষভাবে তদন্ত করছে।দুজনের পরিবারের লোকজনও প্রকাশ্য কিছু বলা থেকে বিরত রয়েছেন।পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো যাবে।ময়নাতদন্তের রির্পোট আসার পরই পুরো বিষয়টি পরিস্কার হবে বলে মনে করছেন পুলিশ মহল।
দু- একজন গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে যায় যে প্রায় দুই বছর ধরে ছেলেটির ও মেয়েটির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল কিন্ত প্রথমে উভয় পরিবারের কেউই এই বিষয়টা জানতেন না।কিন্ত পরে যখন জানাজানি হয় তখন দুই বাড়ির লোকজন এই সম্পর্কটিকে মেয়ে নিতে চায়নি।তাই এই সম্পর্ক বিছিন্ন করার জন্য বলে পরিবারের লোকজন কিন্ত ছেলেটি মেয়েটি চুপি চুপি সম্পর্ক চলতেই থাকে এরপর বিষয়টি গুরতর হয় প্রথমে ছেলে ও মেয়েটিকে মারধর করে উভয় পরিবারের লোক,দিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়।আত্মহত্যা নাকি খুন ? এই বিষয়ে গ্রামবাসীরাও কিছু বলতে পারছেন না।