ফতেপুর থানা এলাকায় এক মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া এক কিশোরীকে হাত পা বেঁধে জীবন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলেই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়।খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছায়।প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।ঘটনাটি ফতেপুর থানা এলাকার মহেভা গ্রামের।সুখনন্দন গোস্বামির ২০ বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে অঞ্জু গোস্বামি মন্দিরে পূজা দিতে যাচ্ছিল।এইসময় কিছু দুর্বৃত্ত যুবক ওই মেয়েটির সাথে অশালীন আচরণ করতে থাকে।মেয়েটি প্রতিবাদ করলে তারা আরও বেশি করে চড়াও হয়।তারপর দুর্বৃত্তরা মেয়েটিকে ধরে জোর করে দড়ি দিয়ে হাত পা বেঁধে দেয়।
এরপর ওই কিশোরীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বত্তরা।আগুন লেগে ঘটনাস্থলেই মেয়েটির মৃত্যু হয়। মেয়েটিকে পুড়িয়ে মারার খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মৃতদেহকে ময়নাতন্তের জন্য পাঠিয়েছে।একই সঙ্গে পরিবারের লোকজন গ্রামের কিছু দুর্বৃত্ত যুবকের উপর মামলা দায়ের করা হয়ছে।পোড়ানোর আগে মেয়েটির হাত পা বেঁধে দেওয়া হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ কর্মকর্তা জানান,মেয়েটির পরিবার যে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তার সাথে নিহতের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেছেন,স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়ছে,তদন্তে যা কিছু বেরিয়ে আসবে,সে অনুযায়ী আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে হেফাজতে নিয়েছে এবং পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে।প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।অভিযুক্ত বলে,অনেক বছর ধরে মেয়েটির সাথে তার সম্পর্ক ছিল।মেয়েটিকে সে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্ত মেয়েটি বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না।এবং পরিবারের লোকজনদেরও কিছুই জানায়নি।মেয়ে বিয়ে না করার জন্য বারবার এড়িয়ে যাচ্ছিল।এতে অভিযুক্ত যুবক ক্ষুব্ধ হয়।এরপর পুরো বিষয়টি বন্ধুদের বলে অভিযুক্ত যুবক,তারই এই মর্মান্তিক ঘটনার পরিকল্পনা করে।
ঘটনাস্থলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,ওই তরুনীর সাথে অভিযুক্ত যুবকের বহু বছর ধরে গভীর সম্পর্ক চলছিল।এই ঘটনার জেরে গ্রামবাসীগন উভয়কেই দোষী করেছে।কারণ মেয়েটির এত বছর সম্পর্ক চলার পরও ওই অভিযুক্ত যুবকের সাথে বিয়ে করতে চাইছিল না।এবং পরিবারের লোকজনদেরও বিষয়টি জানায়নি।অভিযুক্ত যুবক নেশাখোর বদমাইশ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে এই কাজ করেছে বলে মত গ্রামবাসীদের।গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত সহ তার বন্ধুদের কঠোরতম শাস্তির দাবি করেছে পুলিশের কাছে।