চিকিৎসার জন্য ৭ দিনের শিশুকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বাবা; মাঝপথেই গর্ত খুলে মাটি চাপা দিয়ে দিলেন

 


ইউপির বান্দা থেকে এক আশ্চর্যজনক ঘটনা সামনে এসছে।যেখানে কাউকে না জানিয়ে চিকিৎসার নামে বাড়ি থেকে ৭দিনের শিশুকে নিয়ে বের‌ হন এক বাবা।তারপর রাস্তায় যেতে মাঝপথেই গর্ত খুলে মাটি চাপা দিয়ে দেন।ওই ব্যক্তিটি পরিবারের লোকজন এমনকি স্ত্রীকেও জানাননি।বিষয়টি পুলিশের কাছে পৌঁছালে ওই ব্যাক্তিটিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে বলে,শিশুটির প্রচন্ড জ্বর থাকায় তিনি তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাচ্ছিলেন,হঠাৎ করেই শিশুটির শরীর ঠান্ডা হয়ে যায় এবং অনেক নাড়া চড়া করলেও শিশুটি কোন প্রতিক্রিয়া দেয় না।এরপর তিনি বুঝতে পারেন শিশুটি মারা গেছে,যাতে পরিবারের লোকজন কষ্ট না পেয়ে কান্নাকাটি করে তাই তিনি ওই শিশুটির মৃতদেহ না নিয়ে গিয়ে ওখানে মাটি খুলে চাপা দিয়ে দেন।

বাবার এমন কর্মকান্ড দেখে এলাকায় খুব‌ই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।নবজাত শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বর্তমানে পুলিশ পুরো বিষয়টিকে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।ঘটনাটি নারায়নী থানার জাদেদ গ্রামের।এখানে বসবাসকারী ময়না নামে এক মহিলা পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।কিন্ত শিশুটি জন্মের সাথে সাথেই অসুস্থ হয়ে পড়ে যার জন্য তার বাবা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাবে বলে ঠিক করে।হাসপাতাল নিয়ে যাবার পর‌ই পুরো ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে মৃত শিশুটির বাবা জানায়,পথে যেতে যেতেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল তাই সে মাঠের মাঝখানে মাটি খুলে পুঁতে ফেলেন।কিন্তু সে বিষয়টি কাউকে জানায়নি।বাড়িতে পৌঁছে তার স্ত্রী তাকে সন্তানের কথা জিজ্ঞাস করতে থাকে।কিন্ত তাতে সে কোন উওর দেয়নি।তারপর সে নিজেই শিশুটিকে খুঁজার নাটক করতে থাকে।এসময় তার বাড়ির চারপাশে ভিড় জমে যায়।সবাই তাকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে শিশুটিকে কোথায় রেখেছে।কিন্তু তাতেও সে নীরব থাকে।এরপর পাড়ার লোকজনের তার প্রতি সন্ধেয় হয় তখন তারা লোকাল থানায় খবর দেয়।

শিশুটির মা জানায়,তার বাচ্চার খুব জ্বর ছিল তাই তিনি তার স্বামীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলেছিলেন।কিন্ত কিছুক্ষন পরে ডাক্তার খানায় ফোন করলে তার জানান কোন অসুস্থ শিশুকে তাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়নি এরপর তার খুব‌ই চিন্তা হতে থাকে তারপর তিনি পাড়া প্রতিবেশীদের ডাকেন।গ্রামবাসীরা জানায় শিশুর পিতা মানষিক ভাবে দুর্বল ছিল।তার কোন কাজে মন‌ বসত না। আর সবকিছুতেই খুব‌ই তাড়াহুড়ো করতেন।নিজে নিজেই হাসতেন ও কথা বলতেন।পাড়ার বিভিন্ন জায়গায় সারাদিন ঘুরে বেড়াতেন।মানসিকভাবে দুর্বল হবার জন্য‌ই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।এদিকে থানার বড়বাবু জানান পুলিশ নবজাত শিশুর দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।রির্পোট আসলেই পরবর্তী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

নবীনতর পূর্বতন