পরপর দুটি মেয়ের জন্ম দেওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই নারীকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা পাতেপুর থানায় পৌঁছে শ্বশুরবাড়ির ৫ জনের বিরুদ্ধে মেয়েকে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ নিহতের স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধ লাশের নমুনা সংগ্রহ করেছে।
পাতেপুর থানায় নিহতের বাবার দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, তিনি ৪ বছর আগে মেয়ে রুবি কুমারীকে বহুয়ারা গ্রামে অবস্থিত রাজেশ্বর রায় নামে এক ব্যাক্তির সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই নারীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এরপর মৃতের বাবাও সামাজিক স্তরে পঞ্চায়েত করিয়েছিলেন। পঞ্চায়েতের লোকজনের বোঝাপড়ার পর বিষয়টি মিটে যায়। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের কয়েকদিন পর ফের নির্যাতিত হওয়ার খবর পান মৃতার বাবা। এ সময় বিবাহিত ওই নারী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
নিহতের বাবা জানান,১২ দিন আগে তার মেয়ে আরেকটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়।অভিযোগ,মেয়ের জন্মের পর থেকেই ওই মহিলার স্বামী ও বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা বিবাহিত মহিলাটিকে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার অভিযোগ এনে মারধর শুরু করে।এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায় বিয়ের পর থেকেই মেয়ের সাথে অশান্তি লেগেই থাকত,প্রথম কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়াতে ওই বিবাহিত মহিলাকে তিন দিন কোনো খাবার দেওয়া হয়নি,ক্ষুধার জালায় যখন ছটপট করত তখন তার উপর আরও মারধর করা হত।দ্বীতিয় কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়াতে রাগ না সামলেতে পেরে প্রথমে হত্যা করে এবং লাশটিকে মাঠের মাঝখানে রেখছ পুড়িয়ে দেয়।