সিকিমের মতুয়া এলাকায় মাথা, হাত ও পা বিহীন এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ পাওয়া গেছে। ঘটনার ৫ দিন পর প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে মতুয়াব্রিজ এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন পা পাওয়া যায়। পুলিশ এই ঘটনার সিসিটিভি খতিয়ে দেখতেই গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ বলছে, মৃতদেহটি হিতেশ নামে ২১ বছর বয়সী যুবকের এবং তাকে খুন করেছে তার বৃদ্ধ বাবা। অভিযুক্ত বাবা গ্রাইন্ডার দিয়ে ছেলের শরীরের ছোট ছোট টুকরো করে ফেলেন। এরপর কালো পলিথিনে পুরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়।
তথ্য অনুযায়ী, ২২ জুলাই হাত, পা ও মাথা কাটা মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ বলছে, যুবককে তার বাবা খুন করেছে। পুলিশ জানায়, ছেলে মদ ও মাদকে আসক্ত ছিল। বর্তমানে অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ছেলেকে খুনের পর অভিযুক্ত বাবা শিলগুড়ি চলে গিয়েছিলেন। শিলিগুড়ি থেকে অবধ এক্সপ্রেস হয়ে গোরখপুর যাওয়ার চেষ্টা করছিল, সেই সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।গোরখপুরে দর্শনের পর সেখান থেকে নেপালে পালাতে চেয়েছিল অভিযুক্ত বাবা।
অভিযুক্ত পুলিশকে জানায়, গত ৫-৬ বছর ধরে তার ছেলে মদ্যপান ও মাদকে আসক্ত ছিল, এমনকি ওই দিনও সে মদ্যপান করে টাকা দাবি করছিল। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে তার বাবাকে মারধর শুরু করে। এর পর বাবা ঘরে রাখা পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়।
ছেলের মৃত্যুর পর অভিযুক্ত বাবা মতুয়ার বাজারে যান, সেখান থেকে গ্রাইন্ডার মেশিন নিয়ে আসেন। এরপর তিনি ছেলের শরীরের ছোট ছোট টুকরো করেন। এরপর এরপর ওই টুকরোগুলো কালো পলিথিনে ভরে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়।
এখন পর্যন্ত লাশ ও পা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, মাদকাসক্তির জেরেই বাবার হাতে খুন হয়েছে ছেলে।