মধ্যপ্রদেশের রেওয়াতে মানব বলির চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। পুত্র সন্তানের মানত পূরণ করে যুবককে বলি দিলেন তিন কন্যার জনক। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।
ঘটনাটি রেওয়া জেলার বৈকুণ্ঠপুর থানার অন্তর্গত বেধউয়া গ্রামের। গত ১২ জুলাই প্রাচীন ফুলমতি মাতা মন্দিরের দরজায় এক যুবকের লাশ পাওয়া যায়। পেছন থেকে গলায় কুড়াল দিয়ে খুন করা হয় এই যুবককে। সকালে গ্রামের লোকজন মন্দিরে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে বৈকুণ্ঠপুর থানার পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থল থেকে কুড়াল উদ্ধারের কথা জানায়। সিরমাউর এসডিওপি নবীন তিওয়ারি তার এফএসএল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড দল নিয়ে সেখানে পৌঁছেছেন। তদন্তকালে ঘটনাস্থল থেকে একটি কুড়াল উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরনে কালো জিন্স প্যান্ট, লাশের পাশে শার্ট পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তদন্তের জন্য ফরেনসিক দল ও সাইবার সেলেরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ একটি খুনের মামলা দায়ের করে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এদিকে নিহতের নাম কিয়োটি গ্রামের ১৮ বছর বয়সী দিব্যাংশ কোল। তদন্ত করে জানা যায়, এটি একটি মানব বলির ঘটনা।
এসডিওপি নবীন তিওয়ারি জানান যে ৩২ বছর বয়সী রামলাল প্রজাপতি তার ব্রত পূরণের জন্য একটি মানব বলি দিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত রামলাল পুলিশকে জানায়, তার তিনটি মেয়ে রয়েছে। তিনি দেবীর কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তাঁর পুত্র হলে তিনি মানব বলি দেবেন। ঘরে তিন কন্যার পর পুত্রের জন্ম হলে তার ব্রত অনুযায়ী যুবককে বলি দিতে হয়। তিনি একটি ছেলে খুঁজছিলেন।
ঘটনার দিন ওই যুবক ছাগল চরাতে গিয়ে তাকে দেখতে পায়। নির্জন অবস্থায় দেখে সে যুবকটিকে তার সাথে বেধুয়া গ্রামে অবস্থিত দেবী মন্দিরে নিয়ে আসে এবং কুড়াল দিয়ে গলা কেটে আত্মাহুতি দেয়। পরে সে পলাতক। অভিযুক্তরা গ্রামে তন্ত্র-মন্ত্র ও ভূত-প্রতারণাও করে। এর আগেও তিনি মন্দিরে হাত কেটে রক্ত দিয়েছেন। ঘটনার পিছনে অন্য কারণ খুঁজতে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছে।